সালেহীন নির্ভয়

বাস্তব জগতের বাইরে

Decrease Font Size Increase Font Size Text Size Print This Page

বিশেষ প্রক্রিয়ায় মস্তিষ্কের ভেতর দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহ নিজেকে দেহের বাইরে অনুভব করার মত অনুভূতি দেয়। বিশ্বাস করুন আর নাই করুন। গিনেস বুকের কথা।
ঘুমের মধ্যে আপনার সপ্ন দেখার মূহুর্ত্যটাকে কল্পনা করুন। সপ্নে আমরা বাস্তব জগতের সবই দেখতে পায়। দুঃখ্, ভয়, হাসি, কান্না, সুখ ইত্যাদি মানবিক অনুভূতি গুলোও অনেক সময় বাস্তবের মতোই অনুভূত হয়। তাহলে বাম্তবতার বাইরে এটা কোন জগৎ ? পরাবাস্তব ? এই পরাবাস্তব জগতে আপনি এমন কিছুর কী কল্পনা করতে পারবেন যা আপনার বাস্তব অবিজ্ঞতার বাইরে। না কখনও তা পারবেন না।
বিজ্ঞান বলে, মানুষ যা কিছু কল্পনা করে তার সবই বাস্তবে রুপদান সম্ভব। কারন, মানুষ বাস্তবে যা দেখে সপ্নে বা কল্পনায় তাই অতিরন্জিত করে সাজাই । তার প্রমাণ দিচ্ছি,… আপনি স্বর্গের এমন একটি বিষয়ের কথা বলুন যা এই পৃথিবীতে নেই। সময় নিন। একটু সচেতন ভাবে খেয়াল করলে বুঝতে পারবেন আপনি পারছেন না।
আমি এবং আমার দেহ কখনও এক নয়। দেহ সসীম আর আমি অথবা আমার আমি অসীম ও অনন্ত। দেহ মরে যায় কিন্ত আমি মরি না।
মহামান্য মহমানব হযরত মোহাম্মদ (স:) এর হাদিসটি খেয়াল করুন
এই চিরসত্যবাদী মানুষের মৃত্যুর পরবর্তী অনুভূতির কথা বলতে গিয়ে বলেছেন…..
“ কোন মানুষকে জীবিত অবস্থায় তার হাত ভেঙ্গে দিলে সে যে ব্যাথা অনুভব করবে, মৃত্যুর পর সেই ব্যক্তির হাত মুচড়ে ধরলে সে একই পরিমাণ ব্যথায় কাতরাবে ”।
এখানে জীবতি ও মৃতের পার্থক্য শুধু এই যে, জীবিত অবস্থায় তার ব্যথার চিৎকার আমরা শুনতে পাবো। কিন্তু মৃত্যুর পর সে বাস্তব জগতের বাইরে থাকাই আমরা তা শুনতে পাবো না।
মহাবিশ্বের কোন পরমাণুতে অবস্থানরত একটি ইলেকট্রনের ব্যতিক্রম স্পন্দন সমগ্র মহাবিশ্বকে কাঁপিয়ে দিতে পারে। যদি তাই হয় তাহলে আমার ভেতর অবস্থানরত হৃদয়ের যে স্পন্দন আছে তা কী করতে পারে(?)!
হ্যা, সত্য বলছি আমি এমনই বিশাল শক্তির আঁধার। আমি যে অসংখ্য পরমাণুরই পূর্ণরুপ।
পৃথিবীতে সাধারণ মানুষদের মধ্যে যারা এই অসীম শক্তিকে কাজে লাগাতে পেরেছেন মূলত তারাই আজ অসাধারণ মহামানবে পরিণত হয়েছেন। এই সুপ্ত অথচ উজ্জীবিত শক্তিই আইনস্টাইনকে বলেদিয়েছে আলোর গতির সাথে ভরের সর্ম্পক মহা শক্তিতে পরিবর্তিত হবে। আর এ থেকেই তিনি পেয়েছেন E=mc¬2 . যে শক্তি অনন্তকাল বর্গাকারে বৃদ্ধি পেতে থাকবে।
বাস্তব জগতের সমস্ত মায়া-মমতা ত্যাগ করে বৌদি বৃক্ষের নীচে নিরলস সাধনার পর সিদ্ধার্থ্য হয়ে উঠলেন একজন বুদ্ধ, গৌতম বুদ্ধ। মানুষের ইহ জাগতিক দুঃখ দূর করার পঞ্চমন্ত্র নিয়ে আবির্ভূত হলেন এক মহাপুরুষ। সৃষ্টির মাঝে ‍স্রষ্টার রুপ উন্মোচন করে প্রচার করলেন প্রেমের মহত্বর বাণী “ জীব হত্যা মহাপাপ ’’
রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব এর ধ্যানের সর্বোচ্চো পর্যায়কে তার শিষ্যরা সমাধিস্তর বলে আখ্যায়িত করতেন। মূলত এই সমাধিস্তরেই তিনি মানব থেকে হয়ে ওঠতেন অতিমানব। ধ্যানের জগতেই উন্নিত হতেন দেবতায়। যে দেবতা মানুষকে শুনিয়েছেন “ অহিংসা পরম ধর্মের ” মর্মবাণী।
সমাজিক বৈষম্য অনাচার, অত্যাচার, কুসংস্কার, তুচ্ছ কারণে রক্তের ঢল দেখে অস্থির হয়ে যেতেন কিশোর মোহাম্মদ (স:)। কীভাবে সমাজে শান্তি ফিরিয়ে আনা যায় সেই ভাবনায় ধ্যানে মগ্ন থাকতেন নির্ঝন পাহাড়ের অন্ধকার গুহায়। দীর্ঘ সাধনার পর পেয়ে যান মানব মুক্তির শ্রেষ্ট সনদ আল-কোরআন। স্রষ্টার প্রতি সৃষ্টির কতর্ব্য পালনের পূর্ণাঙ্গ জীবন বিদান।

Download Meditation Music Sethelion

শৈলী.কম- মাতৃভাষা বাংলায় একটি উন্মুক্ত ও স্বাধীন মত প্রকাশের সুবিধা প্রদানকারী প্ল‍্যাটফর্ম এবং ম্যাগাজিন। এখানে ব্লগারদের প্রকাশিত লেখা, মন্তব‍্য, ছবি, অডিও, ভিডিও বা যাবতীয় কার্যকলাপের সম্পূর্ণ দায় শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট প্রকাশকারীর। ধন্যবাদ।


9 Responses to বাস্তব জগতের বাইরে

You must be logged in to post a comment Login