বিরহী রক্ত কণিকাগুলো
বিরহী রক্ত কনাগুলো নিস্তেজ নয় তবে নিশ্চল,
পঙ্গু রক্ত কণিকা বলা যেতে পারে।
হৃদয়ের তাতে ভ্রুকুটি নেই, সে সহমে মত্ত।
অথচ হৃদয় কিন্তু পাষান নয়, হৃদয় নয় অবিমৃষ্যও।
হতে পারে তার ভাবনায ভ্রান্তি ভর করেছে,
নিজেকে ভাবছে বুঝি একাই দেহের প্রধান নিয়ন্ত্রক।
তাহলে শাস্তি দাও- মৃত্যুদন্ড দাও…
বিরহী রক্ত কণিকারা মরে যেতে চায়,
স্মৃতির বলয়ে মুমূর্ষু বৃত্ত হয়ে বন্দীকাল আর কত?
দু’একটা বিরহী রক্ত কণিকা আড়ালে ওমন পড়ে
থাকলে হৃদয়ের কি আর যায় বা আসে, সে তো
দিব্যি সময়ের ক্ষুদ্র এককে ফুলছে ফুঁসছে, উঠছে
নামছে আবরনের বাইরেও, তার তো গর্ব অবিরত।
হৃদয় কি নিরবে অবিমৃষ্যই তবে ? অবিমৃষ্য হলে
কি আর রক্তিম অহং নিয়ে বোঝা যায় কভূ –
বিরহী এবং উচ্ছল কণিকা সবই হৃদয়ে অবিমিশ্র।
২৫/৪/২০১১
10 Responses to বিরহী রক্ত কণিকাগুলো
You must be logged in to post a comment Login