সোহম
শিকড়ের সূত্র ধরে বিবর্ণ আত্মার সাথে মুখোমুখি
হবার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ক্ষণগুলোর সমষ্ঠি বর্ধিষ্ণু হয়ে যায়,
এর অর্থ খুবই স্পষ্ট, নিঃসঙ্গতার আনাগোনা বেশী।
যদি হতে পারতুম সিদ্ধ মাত্রায় সোহম কোন পুরুষ;
কিংবা আত্মার ভেতরে আমি এবং আত্মার বাইরেও,
মাপকাঠি এক বহুল ভাবার্থজনক খুবই পার্থিব ধারনা
তাই মাপকাঠির কোন মাপে দেখানো যাবে না সেই
সব নিঃসঙ্গতার নকিঞ্চন একান্ত আপন রহস্যমালা।
কাউকে বোঝানো পারি না কভূ তাই সোহম আর
অহমের তফাৎ জনিত জ্বালা, যা কেবল জ্বালায়
আর জ্বালাতেই থাকে ভাবনার শিকড়ের শুকনো আগা।
মানুষের ভেতরে তুমি মানুষ আর এক রকম বলেই
আমি তোমাকে চেনাতে পারিনা আমার আত্মা এবং
ঠিক তুমিও তাই, আমরা তো সোহম আর অহমের
পার্থক্য বুঝিনা, বুঝাতে পারি না, তাই মনে হয় ঠিক
আত্মার সাথে মুখোমুখি হবার ক্ষনগুলো যেন নিরর্থক,
আত্মা সাথে মিলনে যে শিক্ষা আর জ্ঞান তা যেমন
বাহিরে আসে না তেমিন বাহিরেরটুকুও পৌঁছেনা সেথায়।
অসম্পূর্ণ মাত্রায় মাপকাঠি বানিয়ে অবস্থান নির্ণয় হয় না।
১৭/৩/২০১১
4 Responses to সোহম
You must be logged in to post a comment Login