হৃদয়ে সুখ দুঃখের যুগোপৎ অত্যাচার
যুগপৎ ঘটনা ঘটানোয় প্রকৃতি পরম পারদর্শী
সকালে সূর্য ওঠে রৌদ্রজ্জল ঝলমলে দুপুর, তারপর
কোন ডাইনী বুড়ির ঝুলি হতে সবগুলো কালো মেঘ বেরিয়ে ঢেকে দেয় সূর্য,
মুহূর্তে ঘনঘটা ঘটনা, মেঘের সাথে ঘুর্ণি ধূলোর সঙ্গমে ঝড়ের তান্ডব।
হৃদয়গুলো মানুষের বড্ড পরিশ্রমী, সদ্যজাত শিশুর মুখ দেখে ফুলে ওঠা হৃদয়-
হু হু বাতাসে হৃদয়ের মাঠ প্রান্তরে সবুজ ঘাসে হিমেল ঢেউ , একটু পরেই
কোন দৈবাৎ কিংবা বাস্তব সমস্যায় থেমে যেতে চায় সেই হৃদয়টাই। যেন
কাচের বোতলে ঠান্ডা গরমের যুগোপৎ অত্যাচার, হৃদয় আক্রান্ত বা হার্ট এ্যাটাক;
ইতি কিবা নেতি কোন ঘটনাই হৃদয়ের পরম বন্ধু হতে পারে না, প্রকৃতির কোন
স্থায়ী ঘর নেই; হৃদয়ে কেবল ঘটনার অত্যাচার, কখনও সুখে কখনও দুঃখে।
তার পরম বন্ধু কেবল তাই আশা আর ভীতি। ভয়ের রূপ প্রকৃতির জানালায়
সরু সরু লোহার গরাদ। প্রতিটি ঘটনায় ভেদ তো করতেই চায় সে বাঁধা।
হঠাৎই সে ভয় জানালার গরাদটা কাল আকড়ে ধরে হৃদয়, কি হিংস্র প্রকৃতির
অনবদ্য এবং সর্বোত্তম সৌন্দর্য্য শিশু ঐ সাগরের নোনা জল। তার আগে
কেঁপেছিল ভূমির বুক, তারই রাগে ফুঁসে ওঠে ধরিত্রী রূপসী নোনা জল জাপানী তীরে।
কোন হিংস্র প্রাণীকে এত আগ্রাসী মনে করেনি হৃদয় যতটা আগ্রাসী জলের তোড়।
হৃদয় আক্রান্ত হয় , ভাবনায় কিছূ ঘুনে পোকা জন্ম নেয়, তারপর প্রিয় বাংলার
দামাল তুখোড় সোনার ক্রিকেটাররা হৃদয়ের স্পন্দন নিয়ে ছিনিমিনি শুরু করে,
প্রকৃতির জানালায় থমকে যায় হৃদয়ের ওঠা নামা, সব সময় মন হার মানতে চায় না।
অথচ প্রৃকতি নিঃশংকোচ , মুচকী হাসি নিয়ে হৃদয়ে হৃদয়ে বাঁশের ঠেস দিয়ে টিকিয়ে রাখে।
হৃদয় ভেঙে যায় তবুও টিক থাকে। ভয় ছুঁয়ে যায় তবুও আশা ঘিরে রাখে।
তারপর সোনার ছেলেরা ছিনিয়ে আনে জয়, প্রকৃতি সহায় হয় সে ক্ষণে,
ঠেস দেয়া বাঁশ মরে যায়, হৃদয়ের সুনামী জেগে ওঠে না জাপানের তীরের মত।
কিন্তু প্রকৃতির জানালার মৃত্যু নেই, ভয়ের ক্ষয় নেই, সুখের স্থায়ীত্বও নেই। সবাই
ফিরে ফিরে আসে , ফিরে ফিরে যায়, হৃদয় আক্রান্ত হয়েই যাবে সুখ দুঃখের অত্যাচারে।
কেবল সেদিনই এসব বদলাবে হয়তো যেদিন খুলে যাবে
ভয় গরাদে আটাকানো প্রকৃতির জানালাখানা কারও চিরতরে।
১২/৩/২০১১
11 Responses to হৃদয়ে সুখ দুঃখের যুগোপৎ অত্যাচার
You must be logged in to post a comment Login