জুলিয়ান সিদ্দিকী

সহোদর

Decrease Font Size Increase Font Size Text Size Print This Page

বাপের হোটেলে যে কদিন আরাম করে কাটানো যায় তাই লাভ। বেকার জীবন থেকে মুক্তি পেয়ে কর্মজীবনে ঢুকলেই তো চোখে ঠুলি পরিয়ে দেবে বাস্তব জীবনের বিষবাষ্প। বাবার লাথি-গুতো ধমক-ধামক যাই থাক না কেন, এ জীবনটার আলাদা একটা মজা আছে। যদিও মা প্রায়ই বলেন, তোর লজ্জা শরম কি কিছুই নাই? এত নিলাজ হইলে ক্যামনে চলে!

মুখ গোঁজ করে রাখলেও মনেমনে না হেসে পারি না। এই তো খুব বেশিদিনের কথা না, আদনান বিসিএস দিয়ে পাশ করলেও কোনো এক অজ্ঞাত কারণে সরকারি চাকরি পেলো না। কিন্তু মেধার জোরে একটি কর্পোরেট অফিসে ভালো চাকরিই বাগিয়ে নিতে পেরেছিলো। সাপ্তাহিক আড্ডায় এসে মুখ বড় করে বলেছিলো, বেকার থেকে যে কষ্টগুলো পেয়েছি এখন তার সুদে-আসলে সব তুলে নেবো।

কিন্তু মাস দুয়েকের মাঝেই দেখা গেল তার পুরোনো প্রেমিকা আফরোজা বেশ ঘনঘন ফোন করছে। যদিও বেকার বলে তাকে সে পাত্তা দিচ্ছিলো না। কিন্তু যেই ভালো একটি চাকরি পেয়েছে অমনি মেয়েটা ফের উড়ে এসেছে দুধের মাছির মত। আদনান চোখেমুখে বিরক্তি ফুটিয়ে আমার সঙ্গে বলেছিলো, আরে বাপু চলে গিয়েছিলি তো ভালোই করেছিলি। বিয়ে করে চলে যেতে পারতি অস্ট্রেলিয়া। খামাখা নিজের অত উজ্জ্বল ভবিষ্যৎটা নষ্ট করলো হাতে ধরে।

এখন আফরোজা যেন তার গলার কাঁটা। সংসার পাতবে কবে বলেবলে কান ঝালাপালা করে দিচ্ছে। তখন আমি বলেছিলাম, বাবার লাথি-গুতো খেয়ে আমিই বেশ আছি। ব্রেনে কোনো বাড়তি লোড নেই। তবে শিউলি মাঝেমধ্যে টিএসসিতে আসে। যদিও ইচ্ছে করলে সে ভালো কাউকে দেখে বা তার বাবা মায়ের পছন্দের ছেলেটিকে বিয়ে করে সুখী সংসার গড়ে তুলতে পারতো। কিন্তু তাকে যে কোন ভূতে পেয়েছে, আমার একটা গতি না হলে যেন তার কোনো কিছুই ভাবার অবসর মিলছে না। আজকালকার দিনে এমন বোকামী কেউ করে? কী মূল্য আছে এমন আবেগের? যেখানে ভালোভাবে জীবন যাপনের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আমার পিছু ছাড়ছে না। কতবার বললাম, দেখ শিউলি, আমার মত এমন একটি অপদার্থর জন্য নিজের জীবনটা কেন নষ্ট করছো?

মফস্বল কলেজে লেকচার দিতে দিতে আমাকেও হয়তো নিজের ছাত্র ভাবতে আরম্ভ করেছে আজকাল। যে কারণে কঠিন দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে বলে, ছিহ! যেন ছাত্রটা প্রতিদিনই বাড়ি থেকে পড়া না করে চলে আসে। ফলে ক্লাসে ঠিকমত পড়া দিতে পারে না। আর সে কারণেই অপদার্থটিকে ভর্ৎসনা করতে ছিহ্ বলে ওঠা।

শিউলির এসব তাচ্ছিল্যের ভাব বা অপমানের মানসিকতাকে আমিও পাত্তা দেই না অনেকদিন। একে তো নিজেরই পায়ের তলায় মাটি নেই, আমার সঙ্গে জুটলে সে দাঁড়াবে কোথায়? দুজনে একই বৃত্তে কষ্ট পাওয়ার চেয়ে একজনই ভালোভাবে জীবন কাটাক। তার ওপর শুনতে পাচ্ছি বাবা নাকি মাকে বলে দিয়েছেন, আমার মত অপদার্থের প্লেটে ভাত বেড়ে দিলে তিনি বাজার হাট বন্ধ করে দেবেন। আর তারই পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে হয়তো আমার ঘরের ফ্যানটা বদলে দেন না। একবার মিনমিন করে যাও মায়ের কাছে মুখ খুলেছিলাম, তিনিও জানিয়ে দিয়েছেন, এখন থেকে নিজের খরচ নিজে যোগাও। এতসব যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে অপেক্ষায় আছি বিরক্ত হতে হতে শিউলি একদিন আমাকে এসে বলবে, তোমাকে আর সময় দিতে পারলাম না। অমুক দিন আমার বিয়ে।

কিন্তু সে যেন হেলে পড়া গাছের ডালে বাঁশের খুটি লাগিয়ে সেটার পতনকে ঠেকিয়ে দেবে। জানায় তার কলেজে অর্থনীতির একটি পোস্ট খালি আছে। একটি দরখাস্ত লিখে দিলে সে হাতে হাতে দিয়ে দিতে পারবে। কলেজের গভর্নিংবডির চেয়ারম্যানের সাথে এ নিয়ে দিন কয়েক আগে নাকি কথা হয়েছে। কিন্তু গতকালই শিপলুর কম্পিউটারে ফেসবুকে শাহরিয়ারের অ্যালবামে শিউলির ছবি দেখতে পেয়েছি। যদিও শিউলি এমনি শাড়ি আর সালোয়ার-কামিজ পরে, কিন্তু জিনস আর টিশার্টে কখনো দেখেছি বলে মনে পড়ে না। শাহরিয়ারের সঙ্গে বেশ ঘনিষ্ঠ দেখাচ্ছিলো ছবিতে। কতটুকু ঘনিষ্ঠ হলে একজন আরেক জনের কাঁধে হাত রাখতে পারে তা আমার ভাবনায় কুলোয় না?

ছবিতে শাহরিয়ারের সঙ্গে জিন্স আর টিশার্টের শিউলিকে দেখে আমার খুবই খারাপ লাগছিলো। হয়তো ঈর্ষাও খানিকটা জেগে থাকবে। কেননা এতদিনের পরিচয় বা বন্ধুত্ব পারেনি আমাদের পাশাপাশি কোনো ছবি তোলায় আগ্রহী করে তুলতে। কিংবা কোনো আবেগ ঘন মুহূর্তে হাত ধরাধরি করে হাঁটতে। অথচ কে এই শাহরিয়ার, যার সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠ হয়ে ছবি তুলতে পারে সে?

যদিও সে মফস্বলের একটি কলেজের লেকচারার তার অনেক ছাত্র-ছাত্রীর কারো ফেসবুক আইডি থাকলেও থাকতে পারে। আর এমন ধরনের ছবি যদি তারা দেখে তাহলে আড়ালে নানা কথা বলতে ছাড়বে না। দেশে খানিকটা আধুনিকতার হাওয়া-বাতাস খেললেও বেশিরভাগ মানুষের ভাবনা-চিন্তা এখনো সেকেলেই রয়ে গেছে। অনেক সহজ ব্যাপারও তাদের দৃষ্টিতে কটূ মনে হয়।

শিউলির চিঠি পেয়ে দুটো জরুরি বই নিয়ে তাদের গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলাম। তখনই প্রথম শাহরিয়ারকে সেখানে দেখি।শিউলি জানিয়েছিলো সে নাকি হংকং থাকে। বিয়ে করার জন্য দেশে এসেছে। ঘটনা খুব বেশি দিন হবে না হয়তো। বড় জোর দেড় থেকে দু মাস। আর এরই মধ্যে শিউলি তার সঙ্গে ঘুরতে যায়। এক সাথে ছবি তোলে। অন্যরা দেখলে কী ভাববে যার তোয়াক্কা করে না। তার পরও কেন আমাকে জ্ঞান দিতে আসা? ফেসবুকে ছবিটা দেখার পরপরই তো মনেমনে ঠিক করে ফেলেছিলাম যে, শিউলির সঙ্গে আর কোনো কথা নেই। সে ঘটনার পর থেকে  ভেতরে  ভেতরে আমার খুবই রাগ হচ্ছিলো। ইচ্ছে হচ্ছিলো বলি, যে লোকটা তোমার কাঁধে ওভাবে হাত রাখতে পারে, যার পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে পারো, তার সঙ্গে আলাপ না করে আমার মত অপদার্থের কাছে কেন? সেই লোকটা তো হংকং থাকে। টাকা-পয়সার হয়তো কমতি নেই। বিয়ে করতেই যখন দেশে এসেছে তুমি তাকেই বিয়ে করে ফেল না!

কিন্তু আমার মুখ থেকে কথা সরে না। শিউলি আরো কি কি বলে বুঝতে পারি না। শেষে রাগ করেই হয়তো চলে যায়। যদি সঙ্গে সঙ্গেই তাকে আটকাতাম তাহলে হয়তো সেটাই ভালো ছিলো। কিন্তু এখন সে কোনদিকে গেছে কী করে তার হদিস করবো? আমার আশপাশের সবার হাতে সেলফোন থাকলেও আমার হাতে নেই। বাবার কাছে সেলফোন চাইবার দু:সাহস আমি দেখাতে পারি না। এমনিতেই আমি তাদের বোঝা হয়ে থেকে আর বোঝা কত বাড়াবো। আর তারা আমি বললেই বা আমার সব বোঝা বইবেন কেন?

হয়তো রাগ কমতেই ফের আমাদের ভিক্টোরিয়ান যুগের প্রেমের কথা মনে পড়ে শিউলির। আমাকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে ফের পরের সপ্তাহান্তে এসে আমাকে ঠিক বাড়িতেই পেয়ে যায়।

তাকে দেখলে মা কেন যে এতটা খুশি হয়ে ওঠেন বুঝতে পারি না। মা তো তার মেজাজের কথা জানেন না। বাইরের শান্তশিষ্ট অভিনেত্রী জয়া আহসানের মত চেহারা দেখেই হয়তো মনেমনে স্নেহ করতে আরম্ভ করেছেন। আমাকে বলে কাজ হবে না বুঝতে পেরেই হয়তো সে এবার মাকে ধরে। মা আমাকে তার সামনেই পারলে কান মুচড়ে দেন। বললেন, নিজে তো কোনো চেষ্টা করবিই না, মাইয়াটা যাও একটা ভালা খবর নিয়া আইছে তাও তোর কোনো আগ্রহ দেখি না। আইচ্ছা, তোর কি গণ্ডারের চামড়া?

শিউলি একবার স্মিত মুখে আমার দিকে তাকায়। যার অর্থ হতে পারে, উপায় নেই গোলাম হোসেন!

তাকে কখনোই সরাসরি না করতে পারি না। কখনো করেছি বলে মনেও পড়ে না। কিন্তু শাহরিয়ারের কাঁধে হাত দিয়ে তোলা ছবিটার কথা মনে হতেই আমার ভীষন রাগ হতে থাকে। ইচ্ছে হয় ঘর খেকে বেরিয়ে তার দৃষ্টির আড়ালে চলে যাই। অথচ তার গভীর আগ্রহে তাকিয়ে থাকা চোখে চোখ পড়তেই বুকের ভেতরটা চৈত্রের হাওয়ার মত কেমন শুষ্কতায় হুহু করে ওঠে। নিমেষেই আমার যাবতীয় রাগ জমাট শিশিরের মতই টুপটাপ খসে পড়তে থাকে যেন। আর তা অনুভব করতে পেরেই হয়তো সে ফের বলে উঠলো, কি, দেবে তো?

আচ্ছা, মানুষের মনের ভেতরকার পরিবর্তন কেন চেহারায় ফুটে ওঠে? প্রকৃতি এমন অপকর্মটা না করলে কি পারতো না? তাকে সরাসরি না করতে পারি না বলে মিনমিন করে বলি, আচ্ছা, দিন কয়েকের ভেতর দিয়ে দেবো!

কোনোভাবে কথাটা শুনতে পেয়েই মা দাঁতমুখ খিঁচিয়ে চোখ পাকিয়ে বলে উঠলেন, মেয়েটা যা করতে বলতেছে এখনই কর!

হয়তো সুযোগটাকে মোক্ষম ভেবেইে শিউলি হঠাৎ বলে উঠলো, বেশিক্ষণ দেরি করতে পারবো না কিন্তু! ট্রেন মিস হয়ে যাবে!

অথচ আমি জানি কম করে হলেও আরো দু ঘন্টা সময় ওর হাতে আছে। তবুও মায়ের কঠিন দৃষ্টির সামনে টিকতে না পেরে  আমাকে উঠতেই হয়। বাক্স-পেটরা হাতড়িয়ে প্রায় লালচে হয়ে যাওয়া সার্টিফিকেটের ফটোকপি আর পাসপোর্ট আকারের ফোটো বের করে শিউলির হাতে তুলে দিলে সে বললো, একটা অ্যাপ্লিকেশন লিখে দাও।

কী লিখবো বুঝতে পারি না। আমার কোনো কলমও নেই। কবে কলম ছেড়েছি তাও মনে করতে পারি না। শিউলির কাছ থেকে কলম চেয়ে নিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করে করে আমি আবেদনপত্র লিখি। লিখতে হাত চলে না। তবুও সেটা শেষ করে নিচে নিজের নাম লিখে সাইন করে দেই।

কাগজপত্র ভাঁজ করে ব্যাগে ঢুকিয়ে মায়ের সামনেই কেমন নির্লজ্জের মত বলে উঠলো, আমাকে কমলাপুর এগিয়ে দিয়ে আসবে না?

মায়ের সামনে থেকে যতটা দ্রুত সরে যাওয়া যায় ততটাই মঙ্গল ভেবে, আমি সঙ্গে সঙ্গেই রাজি হয়ে যাই।

একই রিকশায় আমার পাশে বসে ঘুরতে হয়তো তার ভালো লাগে। যদিও কথাটা কখনো মুখ ফুটে বলেনি, তবুও তার আচরণে আমার এটাই মনে হয়। যে পথটা ইচ্ছে করলেই হেঁটে যাওয়া যায়, আমি সঙ্গে থাকলে সেটুকু পথের জন্যও সে রিকশা নেবে।

মানুষের ভাবনা আর বাস্তবতার সঙ্গে কত বড় অমিল তা বুঝতে পারলাম পরের সপ্তাহেই। ইন্টারভিউ লেটার পেয়ে মায়ের বকাঝকা খেয়ে আমি যাই কাশিপুর ডিগ্রি কলেজে। ইন্টারভিউ বোর্ডে বন্ধুদের কাছে যেমন শুনেছিলাম তেমন উদ্ভট কোনো প্রশ্নের সম্মুখীন হই না। কেবল ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাদান পদ্ধতি কেমন হওয়া উচিত বলে মনে করি তার ওপর একটি ছোটখাট বক্তৃতা দিতে হলো। একজন বয়ষ্ক ভদ্রলোক বললেন, আজ থেকে ক্লাস নিতে পারবেন? আপনাকে আমরা এক সপ্তাহ দেখবো।

কিছুক্ষণ পরই শিউলি এসে আমাকে একটি ক্লাসে নিয়ে যায়। মনেমনে খানিকটা ভয় ছিলো যে, সে কতদিন আগের কথা পরীক্ষা দিয়েছি। লেখাপড়ার সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটেছে পরীক্ষা শেষ হওয়ার সাথে সাথেই। কিন্তু ক্লাসে আমার তেমন একটা অসুবিধা হয় না। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে আমি বাড়ি ফিরে আসতে পারি না। কারণ পরদিন সময় মত ক্লাসে উপস্থিত হতে পারবো না বলে শিউলি আমাকে আসতে নিষেধ করে। আমার কাপড়-চোপড় তোয়ালে সাবান ব্রাশ কিছুই তো সঙ্গে আনিনি। এখানে এক সপ্তাহ থাকবো কি করে? কিন্তু শিউলি জানালো কোনো সমস্যা হবে না। মাত্র তো এক সপ্তাহ। আমাদের বাড়িই থেকে যেতে পারবে।

তবুও তাকে বলি, জামা-কাপড় তো কিছুই আনিনি!

তোমার একটুও অসুবিধা হবে না। না হয় প্রয়োজনে শাহরিয়ারকে চিঠি দিয়ে তোমাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেবো।

কিন্তু আমার মন সায় দেয় না। শাহরিয়ারের নাম শুনতেই আমার সমস্ত উৎসাহে যেন ভাটা নেমে আসে। আমার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে করছে না এখানে থাকতে।

শিউলি একটি ঘর দেখিয়ে বললো, এখানে তুমি থাকবে। সব কিছু গোছগাছ করা আছে।

ঠিক তখনই শাহরিয়ার এসে শিউলিকে বললো, বুবু চিঠি দিবি বলছিলি না?

শাহরিয়ারের কথা শুনেই আমার ভাবনা হোঁচট খায় যেন। কিছুটা বিস্ময় নিয়ে বলি, ও তোমাকে বুবু বলছে কেন?

কি বলবে বলে ভেবেছিলে? শিউলি গোমড়া মুখে তাকায়।

না, কিন্তু ফেসবুকে যে দেখলাম…

হুম! আসল ঘটনা তাহলে এখানে! তারপরই শিউলি আমাকে আলতো ঠেলা দিয়ে বলে, আরে গাধা ও আমার ছোটভাই। একই মায়ের পেটের!

শিউলির কথাগুলো যেন কঠিন থাপ্পড়ের মত এসে আমার গালে লাগে। আমি স্তব্ধ হয়ে যাই। ভাবতেই আরো লজ্জায় আমার মাথা হেট হয়ে আসে, কী সব আজগুবী চিন্তা-ভাবনা করে অযথা মনেমনে কষ্ট পাচ্ছিলাম!

(সমাপ্ত)

২.৯.২০১০

শৈলী.কম- মাতৃভাষা বাংলায় একটি উন্মুক্ত ও স্বাধীন মত প্রকাশের সুবিধা প্রদানকারী প্ল‍্যাটফর্ম এবং ম্যাগাজিন। এখানে ব্লগারদের প্রকাশিত লেখা, মন্তব‍্য, ছবি, অডিও, ভিডিও বা যাবতীয় কার্যকলাপের সম্পূর্ণ দায় শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট প্রকাশকারীর। ধন্যবাদ।


8 Responses to সহোদর

You must be logged in to post a comment Login