উপন্যাস: মায়াজাল
[…]
এক হামিদার (সুমু’র) গল্প

আমি বসেছিলাম মিডটাউন, গ্রীন এরিয়ার এক বেঞ্চে। এক ক্লায়েন্টের সাথে কাজ শেষ করে ভাবলাম একটু বসে এক কাপ কফি খাই। ম্যানহাটানের অগণিত পার্কগুলোর একটি, এই গ্রিন পার্কটা ছোট হলেও বেশ সুন্দর এবং ছিমছাম। পাকের তিন দিকে আকাশচুম্বী দালান আর এক দিকে রাস্তা এবং দোকানপাট, বানিয়ারি অফিস।
একদিন বিভুর সনে

বিভু! আপনি তো কিছুদিন
সুন্দরবন এলাকায় ছিলেন
খুলনা আপনার তাই ভাল-ই দেখা আছে।
আপনার অবস্থানের সময় শিল্পাঞ্চলের ভরা যৌবন!
মানুষ-যন্ত্রের মিলিত রসায়নে
আনন্দে ভারী এক বাতাসে ভেসেছেন আপনি।
♠ তোমাকে না লেখা চিঠি ♠

প্রিয় মিলি,
গতকাল রাতের অসম্পূর্ন কল্পনায় হঠাৎ ঘুমহীন হয়ে গিয়েছিল আমার চোখ,
ঘুম চোখ নিয়ে সেলফোনে হাত রাখতেই দেখি
ইনবক্সে অচেনা এক চিরকুট!
চোখ বুলিয়েই পরেই বুঝতে পেরেছি তোমার পাঠানো।
অনেকগুলো মাস পেরিয়ে নতুন নম্বর থেকে তোমার চিরকুট!
ভেবেই আমার চোখ জুড়ে দুর্দান্ত উচ্ছাসের ঢেউ!
পিঙ্ক স্লিপ

নেটওয়ার্ক ডিপার্টমেন্টে “পটল্যাক স্প্রেড” হচ্ছে। ব্যাপারটা প্রতি কোয়ার্টারে এক বার করে হয়। সবাই নিজের নিজের দেশের একটা করে খাবার আইটেম নিয়ে আসে। তার পরে সবাই মিলে খাওয়া। অন্য দেশের খাওয়া মুখে দিয়ে টেস্ট করা। ভাল লাগলে আর একটু নেওয়া। আর সাথে কিছু হৈ চৈ করা আর কি!
স্বস্তি
কী নিয়ে গর্ব করবো? আমার আর কী আছে এই পোড়া আর না পাওয়া জীবনে? না পেলাম বাবা-মায়ের কাছে, না পেলাম ভাই-বোনদের কাছে, না পেলাম দেশের কাছে! মানুষের জীবনে তো কোনো না কোনো একটি দিক দিয়ে কিছু একটা অন্তত প্রাপ্তি থাকা প্রয়োজন; যে প্রাপ্তিটুকু তার মাথাকে উঁচু করে তুলবে অন্যের কাছে। পরিতৃপ্তি বয়ে আনবে আজন্ম বৈরী প্রতিবেশের হাজারো অতৃপ্তির তিক্ততার মাঝে, এক টুকরো অমৃতের মতোই কিংবা সুমিষ্ট মধুর স্বাদের মতোই মুগ্ধকর! কিন্তু এই পোড়া কপালের দেশে কোথাও কিছু চোখে পড়ে না যা নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারি!
বনকুসুম
আকাশ মস্ত নীল। যেন খুব করে কেউ রঙ গুলে ভিজিয়ে দিয়েছে।