শীতের হাঁক ডাক!!!
শীতের হাঁক ডাক!!! রাতের শীতে শিউলি ঝরে, সবুজ পাতায় শিশির! জ্যোস্না ঝরে রাত জেগে কুয়াশা ঝরে মেঠো পথে। মাঘের শীতে শেয়ালের ডাক, রাতে আঁধার ডাকে! হতুম পেঁচার পাখার আওয়াজ কাঁথারউমে স্বপ্ন মুচকি হাসে। ——–__——— ১৪১৭@০৮,মাঘ শীতকাল।
দেবতার ডাক শুনি
দেহের ভেতর দরদী দাহন আসুখের মত সুখ নৈবেদ্য নীরব যাতনা….. অসহ্য বেদনা বিশ্বাস অবিশ্বাসের যাতনা সুখের তরি ভেসে যায় সুখ তবু নাই নীরব আধারে আকাশের কোনে তোমার ছোয়া লাগে, শুধু মন জানে
অনেক দিনের পর,
অনেক দিনের পর, অনেক দিনের পর, মেঘ বৃষ্টির ছোঁয়া হাতে বৃষ্টির ফোটা, দেখলাম একটু ছুঁয়ে, আচমকা এক অনুভব, শিউলী ঝরার কষ্টের মত বেহুদা এক ঘ্যানোর ঘ্যানোর হাওয়ায় ভেসে আসে এমনি রথে উঠলাম বসে যাচ্ছি মেঘে ডুবে। কানে কানে হাওয়ার কথা, সবুজ পাতার আওয়াজ গন্ধ বিলায় ঘাসফুল, জোনাক জ্বলা আঁধার রাত, তন্দ্রা ডেকে স্বপ্ন বুনে, আঁধার […]
জাগতিক সমীকরণ
কর্মকান্ডে নিচে ফেলে দেখি তুমি বউ হয়ে গেছ; দশ দিগন্তের মায়া ছাড়ি এইবার, ধরি রংধনু ডানা— মেঘপল্লবের বাতায়ন খুলে উঁকি দিই খুঁজে নিই স্বর্গের সিঁড়ি বেয়ে উঠার মন্ত্রকৌশল, যে রকম পরস্পর নগ্ন হয় সুখি দম্পতিরা কিংবা যে তাড়নায় জেগে ওঠে ঘুমন্ত মানুষ প্রতিদিন… বৃষ্টি নামে। স্বর্গের সপ্তম চূড়া থেকে নামে আষাঢ়স্য আশির্বাদ। তবু হুর-পরী থাকতে […]
প্রতিদিন উড়ে যাই তোমার নিকট
একটি পিপাসার্ত কাচপোকার মত ভয়ে অথবা নিশঙ্ক চিত্তে একাগ্র ছুটে চলা আগুনের লকলকে শিখাটির দিকে; মাটি কিংবা হাওয়ার ক্যানভাসে নিশ্বাসের মিহি ছাপ রেখে একদিন পৌঁছে যাবো ঠিক তোমার নিকট। দীর্ঘ অদর্শনের যাতনা ভুলে তুমি হয়তো চমকে উঠতে প্রথম দিনের মত; অবাকের ভঙ্গীতে আমি তোমার মুখোমুখি দেয়ালের আরশী হয়ে চোখে চোখ রেখে দাঁড়াতাম! হয়তো অনুরাগী অভিযোগে […]
বুকের পাঁজরে নিত্য শুনি স্পন্দন কথন,
বুকের পাঁজরে নিত্য শুনি স্পন্দন কথন, বুকের পাঁজরে নিত্য শুনি স্পন্দন কথন, সে আমার খুব কাছের জন্মাবধি সাথি আমার, আমি ছাড়তে চাইলেও, ও আমাকে কখনও ছাড়ে না অক্টোপাসের মত সেধে সেধে জড়িয়ে থাকে।শত দূর্বিপাকে, কালের করাল গ্রাসে, হিমশীতল নিশি যাপনে আমার সাথে আমার আলিঙ্গনে নিত্য ক্ষণে। আমার সাথে উর নাড়িপোঁতা, নিত্য চরা স্বপ্নচুঁড়ায়, ভাবনার এতল […]
মাঘের শীতে বাঘ কান্দে,
মাঘের শীতে বাঘ কান্দে, মেঘের ফাঁকে রোদ হেসেছে, কুয়াশায় ঢাকে আলো, মাঘের শীতে বাঘ কান্দে, শীতের কাঁপন মাঘের গায়। কাঠবিড়ালী দেয় উঁকি, গাছের ডালে বসে, ঘন কুয়াশায় মেঠোপথ ঢাকে, পথ ভুলে যায় কৃষক মাঠে। ক্ষেতের খড়ে আগুন জ্বলে, কুয়াশার ভোর ধুঁয়ায় ঢাকে, লাউয়ের মাচায় সাদা ফুলে, লাল ফড়িং শিশিরে ভিজে। ——-__—– ১৪১৭@৩ মাঘ,শীতকাল!
জলছবি জলে!
জলছবি জলে! মনটা খারাপ নদীর,ঢেউ’য়ে ভেজা বিষম লাগে তার পারে না ছাড়তে তারে,অঙ্গ যে তার অঙ্গের সাথে জনম জনম বাঁধা উতল ঢেউ’য়ে জোয়ার যে তার অঙ্গ ভরা সুখ উচ্ছ্বল ঢেউ’য়ে ছল্ল্যাৎ ছল্ল্যাৎ ঢেউ’য়ের উল্লাস যে দিকে তাকাও নেই সীমা শুধু স্বপ্নজোড়া ভাসান ডানা মেলা পাখির ঝাঁক উড়ে যায় বুক ছুঁয়ে আকাশের ঠোঁট চুমে ঢলে পরা […]
কবিতা কেন আঁধার ডাকে?
কবিতা কেন আঁধার ডাকে? কেন যে এমন হয়? শীতের কাঁপনে উম মনে চায় মনটা বড়ই বে-রসিক? শুধুই ভালবাসা চায় ছুঁতে চায় আকাশ? অধরার স্বপ্ন আশা চায মন মেঘ ছুঁয়ে বৃষ্টি ভেজা? হাওয়া বিলায় স্পর্শসুখ ঢলে পরা বেলায় কেন বিষন্ন? সাঁঝের চাদরে কুচি কুচি স্বপ্ন বুনন কবিতা কেন আঁধার ডাকে? অসংখ্য রক্তবিন্দু ঝরা ভালবাসা আঁকে ১৪১৭@২৮ […]
পরমাণুরা সব আধার সমুদ্রে ডুবন্ত
পরমাণুরা সব আধার সমুদ্রে ডুবন্ত এমন যুবতী অন্ধকারে, সমাপ্ত আলোর কীর্তনও স্পষ্ট। বিধিবদ্ধ নিয়মে জোনাকীরা খুবই অন্ধকারপ্রিয় ওরা রাতের তত্ত্বীয় দার্শনিক; নচেৎ রাত ভোর হলে সময়ের খাড়া নৃত্যে ওরাও নিদ্রাহীন মানুষের সহযাত্রী হতো। আর অন্ধকারের আগমনী স্রোতঢেউ আমাদের প্রদ্বীপ জ্বালাতে করে ব্যতিব্যস্ত। যাহিলিয়াকাল চির অদৃশ্য অলীক হলে ———————-। সুতরাং সমস্ত অন্ধবারময়তা বহন করে_ আলোর সচেতন […]
সাগরিকা
নীল নীল সাগরে খোলা এই আকাশে ঝিরি ঝিরি বাতাসে এ মন হারাতে চায় কোন সুদূরে। বুঝি আকাশ হারিয়ে গেল নীল সাগরের কোলে যেখানে গান গেয়ে যায় সারি সারি গাংচিলে দুপুরের রোদে নিঝুম সুরে সুরে। মনে মনে কে যেন একেছিল সাদা মেঘের আলপনা অনুভবে ছিল বুঝি স্বপ্নে পাওয়া কল্পনা। ওই শান্ত অশান্ত ঢেউ করে শুধু কানাকানি […]
তোমাকে বুঝতেই পেরিয়েছি শ্রাবণ,
তোমাকে বুঝতেই পেরিয়েছি শ্রাবণ, তোমাকে বুঝতেই পেরিয়েছি শ্রাবণ, ফিরে আসলো না আর ভালবাসার বসন্তবাউরি; কানে বাজে আজ্ও ছিন্ন এক গাঙচিলের করুন আত্মনাথ শতাব্দীর দরজায় দ্বারিয়ে কালের লুন্ঠন আমার সমুখে, আমি কিছুই করতে পারি না নদীর গ্রীবা ধরে চলতে শিখেছি, অথচ সাঁতারে ভাসতে ভুলে গেছি বুঝতে তোমাকে ভুলে গেছি ভুলেছি আকাশ, ভুলে গেছি মহাশুন্যের তাবর সঙ্গম […]