রাজন্য রুহানি

অধরা চাঁদের আলো

অধরা চাঁদের আলো

    ১. ত্রিশূল আখ্যানে কোনো কল্পতরুর অহম যদি মনলোভা ফুলে ফুলে ডেকে নেয় শিল্পের ভ্রমর, অনন্ত আংটির বেড়ি পায়ে আকর্ষিক মধ্যমায় অধরা চাঁদের আলো যেন বিজন কুটির। ১৮.১২.১৫     ২. সমস্ত প্রণয় বীজ বুনে দেয়া জীর্ণ খোল-করতালে ছুটে আসে রবোটিক চিন্তার নিয়নকাঠি, “কোথায় জীয়নকাঠির দিন? শেকড়বাকর ছিঁড়ে যার খোঁজে হারিয়েছি ঋত সঞ্জীবনী, আয়নার […]

 রাজন্য রুহানি

কেউ ডাকে

কেউ ডাকে, পাশ ফিরে নিভে গেছে বাতি সরু গলির ভিতর, কর্দমাক্ত জীব স্বার্থান্ধ প্রচ্ছদে নাভি দিয়ে হ্যামিলনের বাঁশিটা চায়, ডাকে কেউ ফিসফিস স্বরে, জোর করে গুঁজে দেয় দিয়াশলায়ের কাঠি, সপাংসপাং ঠোঁট উঠছে নামছে দাঁতের প্রাচীর বেয়ে, মহা উজবুক ব্যবধান রেখে চতুর্দিকে ছড়িয়েছে মেলার পাহাড়, আস্তে আস্তে দলে ভারি হবে পিঁপড়েরা রটানো আচারে, তাই দেখে যায় […]

 রাজন্য রুহানি

শব্দেরা বোবা হয়ে গেলে

শব্দেরা বোবা হয়ে গেলে খোঁজ করি সুবোধ্য ইশারাভাষার, পকেটের দীনতা বুঝেই তুমি মঞ্চে আসো না আর; কতশত শ্রম পণ্ড হয় সব। দয়ার দুয়ার বন্ধ দেখে হারাই রাতকানা হাতের আদব, মহাজাগতিক সুরে ভোর হলে ঘোলের স্বাদ দুধে মেটায় আশা, নাকি দুধের স্বাদ ঘোলের তরলে ভাসা; একাত্মপাঠ নিতে বুঁদ হলে নড়ে ওঠে মনের বাড়ি, বাঙ্ময় পৃথিবীর তাবৎ […]

 রাজন্য রুহানি

মুখের উপর মুখোশ

আনন্দঢেউয়ের অন্তর্বাস খুলে নিমগ্নযাপনের ভিতর পাঠ্যসুখের গভীরশূন্যে সূঁচতীক্ষ্ণকথার ওড়াওড়ি… প্রসূতক্লেশ স্থাণুকালে জৈবরংধারা বহুবর্ণচোখ মুছে যায় প্রকৃতিপৃষ্ঠায়; অণুআত্মারা দ্রোহী হলে বদলে যায় শরীরলিপি স্বার্থের সৃজনকৌশলে… বহির্গত বায়ু বর্বর বিকর্ষণে বয়ে আনে কর্তিত শির-সংবাদ। মানবতা ও শান্তির ভেল্কিমোড়া দেশের পিছনেই চলছে তবু একরোখা শরীয়াসেবী। …….. ২৭ জানুয়ারি ২০১২ ……… …….. ১৭:০৫ ঘন্টা …………….

 রাজন্য রুহানি

তন্ত্রমন্ত্রের তেলেসমাতি

ঝরাপাতা পাঠ শেষেই বরং তুমি এসো স্বাধীনতার চাদরে ঢাকা মুক্তির ঋতু। গুহাকাল পেরিয়ে চোখফোটার পর রক্তছাপা কাপড়ের আলিঙ্গনে এখনো ঘন হয়ে আসে মানুষের মুখ, নিদেনপক্ষে এও জানা ভালো— অঙ্কুরিত চারার প্রতিই চিরন্তন লোভ পোকাদের আর দিকে দিকে বাড়ন্ত বয়স থামিয়ে দিতে অবিরত লালা ছাড়ছে ছাগলের জিহ্বা। শঙ্কার ডঙ্কা বাজে অষ্টপ্রহর; প্যাঁচে প্যাঁচে গিট্টু লাগলে দৃষ্টিরা […]

 রাজন্য রুহানি

শূন্যসালের দশটি কবিতা

১. সমস্ত বেদনাশ্রু সময়ের স্রোতে গা ভাসিয়ে সারসের মতো সবাই চলে গেছে সাগর-সঙ্গমে, স্বপ্নহারা শুধু আমিই পড়ে আছি বরফরাতে একা। সনির্বন্ধ চোখের দৃষ্টি সখ্য পায় না কোথাও; স্ববান্ধব বুকের যাতনা কেবল সন্ত্রস্ত রাখে আমায়। স্বতীত্ব লুট হওয়া শেষে আমি কোনো সন্তপ্ত কুমারীর সাধ; সমাজের কাছে একঘরে— মৃত্যুর সম্ভাব্য কুটুম। সময়ের কষাঘাত এই অন্তর্ভেদী আয়ুষ্কালের ভিতর […]

 রাজন্য রুহানি

সংসারসংবর্তি

সঙ যেখানে সার হয়ে জাগিয়েছে অম্লমধুর অনুভব, তারও বিপক্ষে দাঁড়াই আমি; নীলপদ্ম আর বোষ্টমীর পালা তো কবেই সুদূরে বিলীন… লক্ষ্মীন্দর অধুনা মরে যায় যে বিষাক্ত ছোবলে তার প্রতিকার নেই আর— উঠোনে লাশকাটা রক্তের দাগ চাটে নেড়িকুত্তা— বাতাসে বিবমিষা ভাসে কবেকার, সর্পসাথীর চোখ এড়িয়ে বাল্মীকি হাতছানি কেটে দেয় সুতার সম্পর্ক; নাটাইয়ের টান ভুলে কোথায় উড়ে উড়ে […]

 রাজন্য রুহানি

মৃত্যু

কখনো আমাকে আর খুঁজে পাবে না গো জীবনানন্দের এই দেশে কায়ক্লেশে ক্লান্ত মাথার উপর চিল-কাক উড়বে সারাদিন ধারাঋণ নিয়ে আনমনা শিস দেবে ভোরের দোয়েল কিংবা কোকিল নিখিল রং উড়িয়ে মরুবৃক্ষেও উদ্দাম বসন্ত আসবে কভু তবু পৃথিবীতে আমাকে তুমি পাবে না যে হায় নাই হয়েই মুছে দেবো সন্তাপক্লিষ্ট কপালের জনমদুখী রেখা দেখা আর চর্মচক্ষে নাইবা হলো […]

 রাজন্য রুহানি

চোখ নিয়েও অন্ধ হয়ে আছি

চোখ নিয়েও অন্ধ হয়ে আছি; গর্তে ইঁদুর পলায়নপর সর্বদা,  ভীমরতির হলুদ পান্ডুলিপি আয়োজন করে অন্য আইনের, বাতাসে ঘ্রাণ ছড়াবার আগেই কুটিকুটির প্রস্তাব দিয়েছিল দাঁত এখন কোরাসে শরীক সে হাস্যমাতমে, লজ্জার অস্থিমজ্জা খাওয়া পথে পথে সতর্ক চোখ বিড়ালের— ঝুঁটিনাড়া মোরগটাও কুক্কুরু ভুলে ঝিমায় এখন ছিটানো বালাইয়ে, হুকুমে হুকুমে পাতা নড়ে— ঘাড়ের তেড়া রগ চট করেই সোজা […]

 রাজন্য রুহানি

কী করে ভঙ্গ করবে অঙ্গীকার

জীবনকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মৃত্যু দৌড়াতে দৌড়াতে ক্লান্ত হলে সরব শরীর বুকের বোতাম খুলে দেখাবে নিশ্চয় চিরশান্তির ঘুম মৃত্যুকেও প্রতিশ্রুতি দেয় জীবন ঘানি টানা শেষ হলেই ফিরবো প্রতীক্ষায় থেকো অনন্ত আঁধার শীতলতা ঘিরে ফিরে আসে যায় অজানা ওম প্রকৃতিস্থ শীতবায়ু ভেদ করে গতিসূত্র প্রকৃতির সঞ্চরণ খেলা প্রতিশ্রুত অমোঘ নিয়ম সত্য ঘোরাচ্ছে লাটিম অভেদরেখা নির্দেশ করে সময় […]

 রাজন্য রুহানি

সনেট: কুটুমবাড়ি

ঘুরেফিরে পাখি বসে এসে আঙিনায় কূজনে কামনাগাঁথা উথলিত ক্ষণ ফাগুনের ফুল ঝরে চৈতন্য খরায় হাহাকারের আগুনে পোড়ে জমাধন স্বপ্নকে বন্ধক রাখে রাড় মহাজন চাঁদহীন রাতেরই ভাটিয়ালী গাই অদৃশ্য চতুরবাণে কাঁপে তপোবন সঙ্গমকান্ত তটিনী জাগে মোহনায় হুট করে দেয় ছুট পায়ের শিকল প্রপঞ্চ পাগলা টান করে বাড়াবাড়ি শপথে পথের সাথে দৃষ্টি দোলাচল টানাপড়েন মার্জিনে হয় ছাড়াছাড়ি […]

 রাজন্য রুহানি

ভালোবাসা কারে ক

ভালোবাসা কারে ক, জাইন্নে। কিন্তুক তুমি তফাৎ গ্যালেগা পরান পুড়ে, এইডে ঠিক; পালা কুইত্তেডা আরাইয়ে গ্যালে কইলজেডা মুছরায় যেমুন পিঞ্জরে বন্দী ময়নাপাহিডাও ম্যালাক্ষণ আওচাও না দিলে কেমুন জানি কিরবির কইরে ওঠে মাথাৎ। চাওয়ার কাছে পাওয়ার কমতি অইলে আশাগুলান জীবন দিবের চা সবুজ সবুজ বিক্ষ উড়মুড়ি মুক থুবড়াইয়ে পল্লে হায় হায় কাঁন্দে জবানচোরাডাও পেঠুলি নদীত ডিঙ্গি […]