ছড়া

 নীল নক্ষত্র

ছুটির দিনে

চাপা বনে ফুল ফুটেছে আয়রে তোরা আয় ছুটির দিনে ঘরে কি আর বসে থাকা যায়। শহর ছেড়ে মন চলে যায় অনেক দূরের গায় নদীর জলে সেথায় মাঝি পাল তুলে ওই যায়। চৈতী ফুলের মালা গাঁথে পল্লী বালিকা ঝিরিঝিরি বাতাসে ওই দোলে বিথীকা। কলমী লতার ফাকে ডাহুক ভাটিয়ালী গায় আজকে আমার মন যেতে চায় সেই দূর […]

 নীল নক্ষত্র

ছড়া লেখা

কি ছড়া লিখব আজ তোমাদের জন্য কিছু লিখতে পেলে হতাম আমি ধন্য। রবি কাজী সব ফেলেছেন লিখে কি করে আর মনটি দেব ছড়া লেখার দিকে। ভাল ভাল শব্দ গুলি পাইনা আমি খুজে চেয়ারেতে বসে ভাবি কানে কলম গুজে। ভাষাটা যে সেকেলে – গুটি কয়েক শব্দ নতুন কিছু কথা পেলে তারা হতেন জব্দ। অভিধানটি খুলে শুধু […]

 মুহাম্মদ সাঈদ আরমান

পাখির ছড়া: ঝুঁটি শালিক

উৎসর্গ: ব্লগার ছায়েদা আলীর একমাত্র মেয়ে সুহা কে। ঠোঁটে হলুদ রং করে নাকে পরে ঝুঁটি! কিসের এত রসের আলাপ? বন্ধ নাই ঠোঁটি। সারা গায়ে তেল মেখে, চোখে হলুদ রিং বাচালতায় নেই জুড়ি তার, সাজে কুইন-কিং। সকাল-সাঁঝে গপ্প করে, সঙ্গী যদি মেলে, জিকির করতে ভুল করেনা, স্রষ্টার দয়া পেলে। সকল ভাষা শিখতে পারে ঝুঁটি পরা শালিক। […]

 মুহাম্মদ সাঈদ আরমান

কাকীর খবর

কাকা গেছেন রিলিফ দিতে কাকীর খবর বলি, কাতান শাড়ীর খুঁজে কাকী ঘুরছেন অলি-গলি। রুই মাছের মাথা খাবেন, কই মাছের ঝোল, দাওয়াত দিলেন লাঞ্চ করতে, কাছের যত কুল। হাদিয়া আর নজরানা সব কাকীর হাতে আজ, গুনতে কাকী মহাব্যস্ত হাজার টাকার ভাঁজ। কাকী ভাবেন কাকা যেন, ব্যস্ত থাকেন সারাক্ষণ, চেলা, চামচা যত আছে, জয় করিবে কাকীর মন।

 নুরুন্নাহার শিরীন

অজর কলতানঃ নুরুন্নাহারশিরীন

প্রকাশ্যে কি অপ্রকাশ্যে রয়ে গেছে যত গান — শুনতে চাওতো অস্রুতলোকের তৃষ্ণায় ভাসাও কান । ভাব করে নাও শত দ্বিধাতুর শ্রুতিকার সনে — অন্ধ অন্তরাল ভেঙে জিজীবিষাময় গানের রোদন করো মনে । মন তো সমস্ত জানে — কখন কে আসে কে আবার ডেকে নেয় শুকনোপাতার দিনে — সহস্র গানের ভাঙচুর থেকে শুকসারি তারে নেয় চিনে […]

 চারুমান্নান

শীতের হাঁক ডাক!!!

শীতের হাঁক ডাক!!! রাতের শীতে শিউলি ঝরে, সবুজ পাতায় শিশির! জ্যোস্না ঝরে রাত জেগে কুয়াশা ঝরে মেঠো পথে। মাঘের শীতে শেয়ালের ডাক, রাতে আঁধার ডাকে! হতুম পেঁচার পাখার আওয়াজ কাঁথারউমে স্বপ্ন মুচকি হাসে। ——–__——— ১৪১৭@০৮,মাঘ শীতকাল।

 চারুমান্নান

মাঘের শীতে বাঘ কান্দে,

মাঘের শীতে বাঘ কান্দে, মেঘের ফাঁকে রোদ হেসেছে, কুয়াশায় ঢাকে আলো, মাঘের শীতে বাঘ কান্দে, শীতের কাঁপন মাঘের গায়। কাঠবিড়ালী দেয় উঁকি, গাছের ডালে বসে, ঘন কুয়াশায় মেঠোপথ ঢাকে, পথ ভুলে যায় কৃষক মাঠে। ক্ষেতের খড়ে আগুন জ্বলে, কুয়াশার ভোর ধুঁয়ায় ঢাকে, লাউয়ের মাচায় সাদা ফুলে, লাল ফড়িং শিশিরে ভিজে। ——-__—– ১৪১৭@৩ মাঘ,শীতকাল!

 চারুমান্নান

পৌষ পার্বণে,ভাপা পুলি

পৌষ পার্বণে,ভাপা পুলি পৌষ মেলা, বাজনা বাজায়, শীতের চাদর গায়। শিউলি তলায়, শিউলি ঝরে, শিশির মাখা পায়। শিশির ভেজা, দূর্বা ডগা, চিক চিক আলোয় হাসে। শীতের বুড়ির, কাঁপে ঠোঁট, খেজুরের কাঁচা রসে। পৌষ পার্বণে, গাও গ্রামে, আসর বসে উঠান জুড়ে। ভাপা পুলির, মিষ্টি সুবাস, হাওয়ায় হাওয়ায় ভাসে। ——-__——- ১৪১৭@২৯ পৌষ,শীতকাল

 চারুমান্নান

জুবুথবু শীতে দেশ কাঁদে

জুবুথবু শীতে দেশ কাঁদে কুয়াশার বানে, পৌষ ভাসে জুবুথবু শীতে দেশ কাঁদে হার কাঁপুনি, ঠান্ডার কষ্ট দু’হাত সেঁকে আগুন জ্বেলে ঠোঁট কাঁপানো, কুয়াশার হাওয়া মুখটি ঢাকে সূর্য সোনা —–__———- ১৪১৭@২৯ পৌষ,শীতকাল

 চারুমান্নান

শীতের পৌষ !

শীতের পৌষ ! শীতের পৌষ, কুয়াশায় ঢাকে, রাত দিনের আঁচল ! ডাক দিয়ে যায, মিষ্টি ভোর ! ঠোঁটকাপানো হাওয়া, সবুজপাতা ছুঁয়ে, টুপটাপ শিশির ঝরে, মিষ্টি আঁধার পেয়ে ! কুয়াশায় ভিজে, জোনাক জ্বলে ! শিশির মাখে গায়, লাল ফড়িং, আঁধার রাতে, ডানা ভিজিয়ে বসে ! ডানার জালে, শিশির বিন্দু ! মুক্তার দানায হাসে, ১৪১৭@৭ পৌষ, শীতকাল

 চারুমান্নান

শীতের রাত,

শীতের রাত, দিন শেষে কুয়াশার সাঁঝ, একটু ঝেঁকে বসে। শিশির ভেজা কষ্ট আঁধার, রাতের আঁচল টানে। কষ্ট বুঝে কনকনে হাওয়া, জোনাক ভিজে ঘ‍াসে। কষ্ট করে পথিক সুজন, পথে বাঁধা ঘরে। ——-__—- ১৪১৭@৭‍ পৌষ,শীতকাল

 চারুমান্নান

হেমন্তের চাঁদ !

হেমন্তের চাঁদ ! রাত দুপুরে, হেমন্তের চাঁদ ! উঠলো দেখো হেসে ; শিশির ভেজা, ধানের ক্ষেত ! চকমোকিয়ে হাসে । জ্যোস্না মাখ‍া, রাতের হাওয়ায় ! কুয়াশা আবির ঢালে ; পালক ফুলিয়ে, হুতুম পেঁচা ! ইঁদুর ধরে ধানের ক্ষেতে । —-__——– ১৪১৭@২৭ অগ্রহায়ন,হেমন্তকাল