পদ্য

 চারুমান্নান

কোন সে পথিক অপেক্ষা,

কোন সে পথিক অপেক্ষা, কোন সে পথিক অপেক্ষা, পথের শেষে ঐ মোরটার বাঁকে, অন্য এক পথ গেছে উত্তরে ঢলে, ঐ নতুন পথের সমুখে তুমি ছিলে দ্বাড়িয়ে কোন সে পথিক অপেক্ষা, তুমি কি শুনতে পাও? ঝরনার জলস্পর্শের গান বরফ গোলে স্বচ্ছ স্রোতের ঠান্ডা কাঁপন, বুকে সয় নদী এই তো সেদিন পৌষের কুয়াশায় ঢেকে দিল তোমার ঐ […]

 চারুমান্নান

মাঝে মাঝে বুঝি না তোমায়

মাঝে মাঝে বুঝি না তোমায় মাঝে মাঝে বুঝি না তোমায় চাঁদের বিপরীত দিকে হাঁটতে চাও তো ভাল কলঙ্ক আর আঁধার জটলায়, কবিতার ভিসুভিয়াস ভালবাসা আজ শুধু ধুম্রের অবগাহন আকাশ আঁধারে ঢাকে রাত চরা পাখি, রাতের আঁধারকে স্বপ্নচূড় বাসর ভেবে ঘুরে ঘুরে স্বপ্ন খুঁজে, বাতাশের আওয়াজকে গোগ্রাসে গিলে, বনের মহুয়া নেশায় মাতাল হয়ে,রাতভর ছুটে বেড়ায় ভুলে […]

 চারুমান্নান

আমি খুঁজে ফিরি তারে–

আমি খুঁজে ফিরি তারে– রাত জুড়ে আঁধার জ্যোস্নার নক্ষত্র আলোর পথে লুকোচুড়ি কুয়াশা মেখে জেগে আছি আজ পৌষ র্শীর্ণ আঁধার জোড়ায়ে কনক কার্নিশে বসে আছি আমি নক্ষত্র পথের দিশা আমি খুঁজে ফিরি তারে কুয়াশা ঝঙ্কারে পৌষ দিগন্তে আঁড়মোরা দিযে উঠেছে জেগে কুয়াশায় ঢাকা জ্যোস্না কুড়ানো আলোয় ছিটেফোটা চিক চিক মায়া আমার আকুলতায় বাঁধে ভুলে যাই […]

 চারুমান্নান

চাঁদের আলো যতই ডাকুক

চাঁদের আলো যতই ডাকুক আমি আর বাসবো না ভাল কখনও নদীর মত চলবো একা, হাসবো কাঁদবো শুধু একা থাকবো একা জোয়ার ভাটায; স্বপ্ন মেঘের ঘনঘটায় যতই ডাকুক মেঘ বালিকা দেখবো না আর পিছন ফিরে, আকাশ নীলের উদাস হাওয়া মাখবো গায়ে একা আমি; চাঁদের আলো যতই ডাকুক রাতে আমায় থাকবো আমি আঁধার বনে, আলো চেয়ে জোনাক […]

 নীলসাধু

অবিনাশী ক্ষুধা :: ::

নিঃশ্বাসে কাঁপে মধ্যদুপুরের ঘর্মাক্ত শরীর যুগল আলিঙ্গনে দরবেশ মন বিভ্রান্ত, মৃত্যুমাধু্রী ঠোট সকল নগ্নতা চুষে কামড়ে কামড়ে ছিড়ে ফেলে কোমলতা নতজানু রাজকুমারীর ময়ুরীর পালক বসন । তৃষ্ণাতুর ঠোট ভেসে বেড়ায় বুকের জমিনে উপত্যকায় জলজ গভীরে, চোখে ভাসে নর্তকীর ভরাট বুক, নিতম্ব সরু কোমর । দীর্ঘ চুম্বনে কামুকতার বৃত্তে সঞ্চিত কামনার আগ্রাসী বিচরন, আদিম রহস্যে কাঁপে […]

 হরিপদ কেরানী

তুমি কই?

তুমি কোথায়? শহরের অনেক খবর তোমাকে জানানো দরকার তুলোউড়া মেঘে ছেয়ে গেছে পুরোটা শহর সোনার দামে মিলছে শীতের শবজি। সামনে ইলেকশন-দুঃখ ঘুচে যাবে হাড়জিরজিরে মানুষের তারা পরিণত হবে সুমো কুস্তগীরে। কদিন পর ফুটবে আমের মুকুল আনন্দে হাসবে বুড়ো রবীন্দ্রনাথ বজরা ভাসাবেন গড়াই নদীর বুকে। জমে উঠবে জলসাঘর শহরের বনেদী এলাকায় বাঈজীর নাচে মাতাল হবেন শহরের […]

 আহমেদ মাহির

শিকড় ছিড়ে যাবার পুর্বকাল

শৈশবের দিনগুলো বড় অদ্ভুত ছিল ভাঙাচোরা নড়বড়ে ঘরটিতে বেশ শক্ত খুঁটির ওপর দাঁড়িয়ে ছিল ভালোবাসা সম্পর্কের বন্ধনে । ভালোবাসা ছিল দাদীমা’র হাতে কাঁঠাল পাতা দিয়ে আঁকা পানের খিলির প্রতিবিম্বে কিংবা তোষকের নিচে লুকোনো গলিতপ্রায় ফানটা লজেন্সের মোড়কে । ভালোবাসা ছিল রোজ সকালে পুকুরপারে দাদীমা’র দুধ-শাদা চুলে সোনালী রোদের ঝিকিমিকি খেলায় ! শৈশবে ভালোবাসারা ঘুরে বেরাত […]

 আজিজুল

জাতিসংঘের নগ্ন অধিবেশন

জাতিসংঘের নগ্ন অধিবেশন

মুড়ি মুড়কির মতন ভালোবাসা খাচ্ছি- চিবুচ্ছি। এরপরে গতবাধা ছন্দে মানবদরদী বানী দিচ্ছি। জার্নালিজমের ভুতগুলো সম্পাদকীয় কলামে স্থান পেলেও তোমার নাভির সাথে সংযোগ খুজে পাইনা। ব্যাপার না হে বত্স, ধৈর্য ধর। রক্ত খাবে? কিংবা তামাটে রংগা বাশিটাকে- যা কিনেছি অলিতে গলিতে চুরি যাওয়া রোজ বিক্রি করা মহিলাটার কাছ থেকে সেও নাকি খোয়া যায় রাত, দুপুরে আর […]

 রাবেয়া রব্বানি

আবার এমুন রাইত

আবার এমুন রাইত

আবার এমুন রাইত আবার মন আউলা হইলো আবার আইলো হুতাশ বাতাস। আমি দরজায় খিল দিয়া চুপচাপ ; “সুখে থাকো’ আঁকা বালিশে গুজি মুখ। আসমানি রঙ্গে ধার দিলো চান কি জানি, কারে করব খুন? আবার চান্নি রূপার দরে এমুন বিয়ান রাইত! পুস্কুনির পাড় পিছল আরো, বটের ঝুড়ি নামলো আরো নিছে আর ঘোলা পানিতে ভাসে কি? ঠাহর […]

 চারুমান্নান

আমি ক্লান্ত এই সূবর্ণ বেলায়

আমি ক্লান্ত এই সূবর্ণ বেলায় আমি ক্লান্ত এই সূবর্ণ বেলায় শিকড় সন্ধানে জন্মবধি;আর্যদের আধিপত্যে এই জনপদ নদী নালার সবুজ তীরে নঙ্গর গেরেছিল কালের পিতামহ বংশের দ্বীপ জ্বলা নর এবং নারী। পাথরে ঘুষে ঘুষে পাথর ফলা,লাঙ্গল ফলায় পশুর কাঁধে জোঁয়াল কর্ষন করেছিল জমি; শুকনো বীজে সবুজ ফসল নবজাতক শিশু মায়ের কোল জুড়ে নীল আকাশের সাথে, জ্বলা […]

 চারুমান্নান

সে তো ভাসে স্বপ্নে টইটুম্বর

সে তো ভাসে স্বপ্নে টইটুম্বর কি করে পারলে বযে বুকে, সাগরের ঢেউ এর মত আছরে পরা তোমার দীর্ঘশ্বাস; সে তো ভাসে স্বপ্নে টইটুম্বর অথচ তুমি একই পথে বার বার হাটলে অচিন পথিকের মত অচেনা পথ বলে । মনের ডাঙ্গায় তোমার বাসা না,তোমার ডাঙ্গায় মনের বাসা, বুঝতে গড়িয়ে গেল সময়; পথের আইলে গজিয়েছে বন চিরহরিত মহুযার […]

 চারুমান্নান

আমি চাই তারে!

আমি চাই তারে! আমি চাই তারে বেলা শেষে, সাঁঝে ছড়িয়ে থাকা মায়ার খুব সান্নিধ্যে অকুল পাথারে, বিবর্ণ চাওয়া যখন হয় নিঃস্ব আমি চাই তারে, পৌষের হিম শীতল হাওয়া টেনে । কবিতার বই’এ জ্বলজ্বলে কবিতার কথা যথন আমাকে মুখ ফেরায়, বর্ণমালার নিবিষ্ট আঁচল যখন উমে কাতর আমি চাই তারে । ১৪১৭@১১ পৌষ,শীতকাল