পদ্য

 চারুমান্নান

যমুনা তীরে কে জানে! কোন রাধা,

যমুনা তীরে কে জানে! কোন রাধা, উদ্‌ভ্রান্ত,বর চঞ্চল হাওয়া এই সময়ে, গ্রথিত হয় সোজা ইচ্ছা মূলে; সেখানে জেগে উঠে বাহুবল, সপ্তপদী গমন,দ্বীপ ছুঁয়ে পথের কোল ধরে। আকাশ শরীরে সাঁঝ রং ছড়ায় অভিমানে, ঝড় উঠে তপোবনে,ভেঙ্গে যায় গারদ সুবর্ণ ভুষণ; বিরহ সন্তাপ যত ত্রিকালের,থেকে থেকে বৈরাগ্য সাজে অভিমানে। যমুনা তীরে কে জানে! কোন রাধা, আকুল হয় […]

 তৌহিদ উল্লাহ শাকিল

ভালবাসাহীন

  //তৌহিদ উল্লাহ শাকিল// বুকের পাঁজরের উল্টো পাশে হৃদয় থাকে মস্তিষ্কের অনুভূতির খোঁচা সেখানে বিঁধে যায় সহজে। ভালোবাসাহীন অন্য মানুষ সবাই  বলে আমায় শুনি চুপ থাকি হাসি খোলা মনে , ভালবাসা  কারে কয় তারা ক’জনে জানে।আমার ছিল যা তা তো দিয়েছি উজাড় করে কোন এক চন্দ্রিমা রাতে । যখন চাঁদ রুপার চাদর বিছিয়ে ছিল ধরণীর […]

 এন এন নিঝুম

নিয়তি

তোমার অবশেষ আর নির্বিশেষ অন্ধকারে মুখ গুঁজে হারিয়ে যাব আমি এই আমার নিয়তি, তুমি সীমা থেকে অসীমে ,মোহ থেকে ভ্রান্তিতে প্রত্যাবর্তন করবে ,আমি জানি এটাই আমার নিয়তি। আমার নিয়তির মত আমিও তুমি থেকে তোমাতেই আবদ্ধ হয়ে পড়ি, আমি কেবল মেঘ হয়ে ছুঁতে চাই আকাশ হবার আকাঙ্ক্ষা, আমার নিয়তি আমাকে তোমাকে ছুঁতে দেয়না, কেবল ই ভেসে […]

 চারুমান্নান

আমি আমার স্বপ্নগুলোকে ‍দেখলাম

আমি আমার স্বপ্নগুলোকে ‍দেখলাম যুদ্ধ ফেরত সৈনিক, পায়রার ঠোঁটে গুজে দিচ্ছে প্রিয়তমার চিঠি। নীল ঘন সাগর ঢেউ,নীল সমুদ্র,সূর্যোদয় এবং ঢলে পরা সাঁঝ ফুরায়। নিবিড় নিতম্বিনী, দীর্ঘ কায়া এক নারীর সোনালী চুল উড়ছে বাতাসে, ঈষৎ অবনত মুখী সে,তার ব্লাড ক্যান্সার। আঁধার পথ পেরিয়ে দেখলাম এবং বুঝলাম, ওতো আমার ঘরের খিড়কি। একটা ছাই রং এর চিল, মুর‍গির […]

 তৌহিদ উল্লাহ শাকিল

জীবনের অনেক রঙ

তৌহিদ উল্লাহ শাকিল।     জীবনে অনেক রঙের ছড়াছড়ি,সারাক্ষণ অভিনয়ে বেলা হয় পার। কখনও দুষ্ট ছেলে কখনও যুবক তরুণের পর একদিন পিতা, এরপর মায়ার সংসার দিনের শেষে হাজারো ক্লান্তি ভরা একরাশ আঁধার। পাড়ার চায়ের দোকান কিছু বখাটের দখলে তাকিয়ে দেখি এ সমাজ ডুবে যায় অন্য গোধূলি বেলায়। নেশার ছোবলে বাঁধা পড়া কিছু তরুন হেঁটে যায় […]

 এন এন নিঝুম

প্রতিশ্রুতি

আজ শেষ বারের মত ঐ ঘুটঘুটে অন্ধকার রাত কে সাক্ষী করে বলছি নিশ্ছুপ কষ্টের মত,হিম শীতল ক্ষোভের মত আমিও একদিন দাবানল হব,অগ্নিস্ফুরন হব তোর মত করে অবুঝ আর জেদি হব, গুমরে মড়া চাপা যন্ত্রণায় আর একটি গোধূলি কেও আমি রাত হতে দিবনা। এই শেষ বারের মত তোর বুকের মাথা রেখে বলছি অতলান্তিক জলে আমি ডুবুরি […]

 চারুমান্নান

শ্রাবণ রাত,ঝর ঝর বৃষ্টির একি ছন্দ

শ্রাবণ রাত,ঝর ঝর বৃষ্টির একি ছন্দ শ্রাবণ রাত,ঝর ঝর বৃষ্টির একি ছন্দ যেন বেহাগে কান্না ঝরছে,বিরহের এমন উতল বরিষণ প্রেম হরষে স্মৃতি জাগানিয়া। কবে ভিজে ছিনু ‍দুজন? ছাদের শ্রাবণ নির্ঝর বরিষণে,বৃষ্টি ভেজা মাখামাখিতে কেশ তোমার আকুল করা গন্ধ ছড়িয়েছিল। শ্রাবণের প্রথম বৃষ্টি আজ, তাও আবার গভীর রাতে,বৃষ্টির সু-শ্রী পেলব ছন্দে ঘুম ভাঙাল স্মৃতির আঁচল ধরে […]

 খন্দকার নাহিদ হোসেন

নিলে নীল নীড়

সত্য কি –সত্য ? প্রতিটিক্ষণ খুলির ভিতর ধড়ফড় করে কিছু সত্য পদবাচ্য নিয়ে; যন্ত্রণার আলোর নিচের সত্য প্রখর সুখে যন্ত্রণার আলোর নিচে কি নেই? পুরো কৈশোর জীবনে একবারই ভালোবাসা হয় এই ভেবে ভেবে যাকে ভালোবাসলাম একবারই আজ অন্য কারো পাশে শুয়ে গভীর আবেগে ঘুমন্ত এক দেবীর মুখ দেখে দেখে ভোর হয় আর প্রতিটিক্ষণ পোড়া খুলির […]

 খন্দকার নাহিদ হোসেন

গুপ্তবিদ্যা

এ দেহটা নরক উত্তপ্ত আঁচে পুড়ছে মন বৃষ্টি মাথায় তুমি ডাকলে আমায়…… ইশারায় নেশার আমন্ত্রণ। হঠাৎ গুণিনের সাম্প্রতিকতম সতর্কতা জানায়- বর্ষায় গুপ্তবিদ্যা জানানো মানা। বৃষ্টি রেণুর এ মরসুমে আমি নাকি বড়জোর জলের ছাই মাখা পুরুষ হতে পারি। বড়জোর একজন মেঘের দালাল। অতঃপর হাত ছিঁড়ে ফেলে আয়ুরেখার তিনটি লাইন- ইশারায় নেশার আমন্ত্রণ বৃষ্টি মাথায় তুমি ডাকলে […]

 এন এন নিঝুম

অনুশুচনা

তোমার দুঃখ সমুদ্রে আমি ভাসতে পারিনি কখনই, কেবলই বালুচরে হেটে গেছি, কুড়িয়েছি মৃত শামুক আর ঝিনুকের দেহ, উল্লাসে চিৎকার করেছি,ভেবেছি তুমি আনন্দ ভেলায় জড়িয়ে আছো আমার সবটুকু সান্ত্বনা। অথচ তখন ও তুমি সাইক্লোনে ফুঁসছ তোমার অস্থি মজ্জায় ছড়িয়ে পড়ছে ফেনিল বেদনার ঢেউ, কী শান্ত ই না দেখাতো তোমাকে তখন! ভুল করেও আমি ভাবিনি, জীবনের সায়ন্তনে […]

 শাহ আলম বাদশা

শাহ আলম বাদশা’র গুচ্ছছড়া

চিকা একটি ছেলে কাঁদতেছিল নাকি গলাই সাধতেছিল? সে কথাটি বুঝে ওঠার আগেই আমার পায়ে কামড় দিলো বাঘেই! বাঘই নাকি কুত্তা ছিলো শ্যাওড়া গাছের ভূতটা ছিলো; দেখার আগেই ভয়ে হলুম কাত তখন ছিলো অনেক গভীর রাত। অট্টালিকায় কিসের থাবা বিস্ময়ে কন মা ও বাবা? আঁধাররাতের ব্যাপারখানা তখনো যে হয়নি জানা! এমনি সময় দৌঁড় দিলে এক চিকা- […]

 অবিবেচক দেবনাথ

ক্ষুদার দুখ

জন্মাবধী ডুলির গলুইয়ে উড়ি সুতো হতে, অন্তর-দেহ কলংক করে পেটের দায়ে নটে ! তৃষায় বাসনা নয় বাসনায় জাগে তৃষা, ঠোকরে ক্ষয় অর্ধযৌবন মুঠোখানি অন্নের আশা ! পুষ্পিতা আর নয় রইলাম হলাম অবরোধবাসিনী, বুকের ভাঁজের উত্তাল ঢেঁউয়ে খেলছে কালঙ্গিণী। ফুলের বুকে ভুখ সারিল অভুক্তের হল সুখ, দুরাচারী আমি কপট সংসারে জন্মাবধি ক্ষুধার দুখ।