খন্দকার নাহিদ হোসেন

নিলে নীল নীড়

সত্য কি –সত্য ? প্রতিটিক্ষণ খুলির ভিতর ধড়ফড় করে কিছু সত্য পদবাচ্য নিয়ে; যন্ত্রণার আলোর নিচের সত্য প্রখর সুখে যন্ত্রণার আলোর নিচে কি নেই? পুরো কৈশোর জীবনে একবারই ভালোবাসা হয় এই ভেবে ভেবে যাকে ভালোবাসলাম একবারই আজ অন্য কারো পাশে শুয়ে গভীর আবেগে ঘুমন্ত এক দেবীর মুখ দেখে দেখে ভোর হয় আর প্রতিটিক্ষণ পোড়া খুলির […]

 খন্দকার নাহিদ হোসেন

গুপ্তবিদ্যা

এ দেহটা নরক উত্তপ্ত আঁচে পুড়ছে মন বৃষ্টি মাথায় তুমি ডাকলে আমায়…… ইশারায় নেশার আমন্ত্রণ। হঠাৎ গুণিনের সাম্প্রতিকতম সতর্কতা জানায়- বর্ষায় গুপ্তবিদ্যা জানানো মানা। বৃষ্টি রেণুর এ মরসুমে আমি নাকি বড়জোর জলের ছাই মাখা পুরুষ হতে পারি। বড়জোর একজন মেঘের দালাল। অতঃপর হাত ছিঁড়ে ফেলে আয়ুরেখার তিনটি লাইন- ইশারায় নেশার আমন্ত্রণ বৃষ্টি মাথায় তুমি ডাকলে […]

 খন্দকার নাহিদ হোসেন

যাবজ্জীবন

শ্রাবণে নাও ডুবে যায় চেনা ঘাট স্মৃতিতে পিচ্ছিল রক্তের রেখা বড়ই কাঁটায় গাঙে জলের ঢেউয়ে ঢিল। ডোবা ভাসা জীবনের ভিতর কথার বুদ্বুদে ভালোবাসার বুলি বুকের চরে খড়বিচালির ঘর মাটির পায়ে মানায় চান্দ্রধুলি? এভাবে হাতড়ে খুঁজি আমায় ছিঁড়েখুঁড়েই যদি মোরে পাই ভার্টিক্যাল দাঁড়িয়ে থাকে ঠায় কাছের মানুষ স্বপ্নের ছাই। উঠান উপচানো শিউলি জানে ঝরা অশ্রুর ভেজা […]

 খন্দকার নাহিদ হোসেন

ঝগড়া

শব্দ নিয়ে আমার মোহগ্রস্থতা গেলো না, আমি যেন তন্ময়তার আমন্ত্রণে ঘিঞ্জি গলি-ঘুপচি ঘুরে মরছি। বারোয়ারি শব্দ- আকাশ, শকুন, উড়াউড়ি……তবু আমার কাছে আকাশ মাঠ হয়ে যায়, শকুন হয়ে যায় শকুনি আর উড়াউড়ির যাবজ্জীবন জ্যামিতির ফ্রেমে। আমি বিধিলিপি মেনেই বলে উঠি, ‘চক্রের মাঠে এক শকুনি’। বলেই ভীষণ রাগ হয়, ইচ্ছে হয় কুলকুচো করে ফেলি এই শব্দের ঘ্রাণ […]

 খন্দকার নাহিদ হোসেন

নীলাভ জোছনা

একদিন একবেলা ভালোবাসা ছিল যে তোমার তারপর একরাশ জুঁইফুল পাঁজরে পোষ মানেনা এঁকে যাই স্পর্শের ছবি তাতে ভীড় নিঃসঙ্গতার জীবন কোটেশন দেয়-স্বপ্নাচ্ছন্ন মন স্বপ্ন জানেনা। নীলাভ ঘাসফুল নিয়ে বসি প্রিয় নদীটার পাশে ম্রিয়মান সময় শেষে আরেক সন্ধ্যা গিলে খায় বুকের বধ্যভূমি দেয় নিশ্চিত নিশ্চয়তা মাসে মাসে কেউ আসবেনা-বহুদূর জীবন থেকে দেবালয়। কষ্ট হলো আমাদের সবচেয়ে […]

 খন্দকার নাহিদ হোসেন

ডাকাত

সাধনা যাতনা চলায় অষ্টপ্রহর অব্যর্থ কবচ – ভাগ্যে দৃষ্টি প্রসন্ন গ্রহর আর কিছুদিন বিমূঢ় মেদুর কাল দেখো তারপর একদিন এক ফুঁৎকারেই জাগিয়ে দেবো দেহের সকল উত্তাপ অনিন্দ্য সুন্দর ধুকধুকে কাপা ফুল গুঁড়িয়ে দেবো- তোমার তপস্যার ঠুনকো গা! বাতাস ডাকাত পুত্র দিকে দিকে তার কিংবদন্তীতুল্য আখ্যান- খিড়কিতে উপচায় দক্ষিণের আঁচড় তোমার আঁচলে তার উত্তুরে হাত আহারে […]

 খন্দকার নাহিদ হোসেন

শাহনামা ও রাজা-রাণীগণ

সপ্তর্ষি ঝরে চলে ব্যগ্রতার দিন-রাতে ঝরে ঝরে ঝরিবার পর আমাদের জ্বালা চোখে একসময় ঝালের পাতে তবু অন্ধকারে আকাঙ্ক্ষার কলস উপচে পড়ে ফিরবার তাড়া কাঁধে যদিও না ফিরে ঘরে আমরা যাই উড়ে পুরাতন ঝড়ের ভিতর। শাহনামা বদলে যায়; তাতে শেষমেশ হয়না লেখা, ‘রাজা-রাণীগণ দিন সুখে কাটালো’ মানুষের প্রয়োজন কতটুকু? আমরা ভুলে যাই আমরা সবাই আকাঙ্ক্ষার দেবতার […]