কবি শহীদ কাদরীর আয়োজনে নিউইয়র্কে একটি অনবদ্য কবিতা সন্ধ্যা
কবি, বাংলা কবিতার ইতিহাস ও বিবর্তন নিয়ে বক্তব্য রাখলেন। বললেন, আধুনিক কবিতা নবতর প্রাণ পেয়েছে শামসুর রাহমানের হাতে। শামসুর রাহমানের কবিতার না না দিক ও অনুষঙ্গ বিষয়ে তিনি বর্ণিল ভুবনে নিয়ে গেলেন উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের।
অনুষ্টানটি ছিল তিনপর্বে বিভক্ত। প্রথম পর্বের ফিচারড পোয়েট ছিলেন শামসুর রাহমান। তাঁর বেশ ক’টি কবিতা আবৃত্তি করেন – মুজিব বিন হক, মুমু আনসারী, জেসমীন মোশতাক,ও সেমন্তি ওয়াহেদ।
শহীদ কাদরী বলেন , শামসুর রাহমানের কবিতার সাথে আমার পরিচয় সেই ১৯৫৪ সালে। রাহমান তাঁর কবিতায় মানব জীবনের বহু বিচিত্র অনুভূতিকে ধারণ করেছেন বহুমাত্রিকতায়।
দ্বিতীয় পর্বে ছিল ষাটের দশকের তিন জন কবির কবিতা। এরা হলেন- আব্দুল মান্নান সৈয়দ, সিকদার আমিনুল হক ও রফিক আজাদ।
কবিত্রয়ের কবিতা আবৃত্তি করেন- ক্লারা রোজারিও, রওশন আরা লিপি, মনজুর কাদের, ও জি এইচ আরজু।
পিনপতন নীরবতার মধ্য দিয়ে হলভর্তি দর্শক শ্রোতারা উপভোগ করেন এই কাব্য প্রক্ষেপণ।
শেষ পর্বে কবি শহীদ কাদরী যুক্তরাষ্ট্র অভিবাসী তিনজন কবিকে উপস্থাপন করেন।
আশির দশকের এই তিন কবি হচ্ছেন- তমিজ উদদীন লোদী, ফকির ইলিয়াস, ও শামস আল মমীন।
শহীদ কাদরী বলেন, এরা পরবাসে থেকেও বাংলা কবিতার চর্চা ও বুননকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। একে একে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন – তমিজ উদদীন লোদী, ফকির ইলিয়াস, ও শামস আল মমীন।
শহীদ কাদরী তাঁর সমাপনী ভাষণে বলেন, আমরা আমেরিকায় এমন আয়োজন আরও করার ইচ্ছে পোষন করছি। পরবাসে যারা কবিতার জন্য নিরলস শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন, আমরা তাদেরকে আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। প্রায় দুঘন্টা ব্যাপী এই অনুষ্টানটি
ছিল সাম্প্রতিক কালের একটি শ্রেষ্ঠ পরিকল্পনা বলে মন্তব্য করেছেন অনেক দর্শক-শ্রোতা। তারা শহীদ কাদরীর এমন উদ্যোগকেও স্বাগত জানিয়েছেন। #
7 Responses to কবি শহীদ কাদরীর আয়োজনে নিউইয়র্কে একটি অনবদ্য কবিতা সন্ধ্যা
You must be logged in to post a comment Login