জুলিয়ান সিদ্দিকী

লেখকরাই চোর, নাকি লেখাগুলো চুরি হয়ে যাচ্ছে?

Decrease Font Size Increase Font Size Text Size Print This Page

তেল

দেবকুমার মুখোপাধ্যায়  / একুয়া রেজিয়া

ন্যাশানাল হাইওয়ে – জাতীয় সড়ক। লোকে বলে হাইরোড। বড় অস্থির এই সড়ক। পাখীর মত হুস হুস করে উড়ে যাচ্ছে গাড়ি। পড়ন্ত বেলায়, সড়কের ধারে, একটা পেল্লায় পাকুড়গাছের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে – হাতকাটা ঘোঁতা।

ইন্টিরিয়র ডেকরেটর

দেবকুমার মুখোপাধ্যায়/সবুজ আলম

– জোনাকি, শহরে এখন তোমার খুব নামডাক। জীবনের সেরা সময়টা অপরের ঘর সাজিয়ে কাটালে। এবার নিজের ঘরের খবর বলো –

– ঠিকই বলেছ অকৈতব, কোন কোন ঘর সাজিয়ে মনে হয়েছে ; বিনিময় মূল্য নয়, ঐরকম একটা ঘর পেলে বাকি জীবনটা বেশ কাটিয়ে দেওয়া যেত।

– কাগজে ছোট্ট একটা বিঞ্জাপন – জোনাকি রয় (ইন্টিরিয়র ডেকরেটর) দেখেই ভ্রাম্যভাষ এ ডাকলাম তোমাকে… অবচেতন বলল – ওকেই ডাক…

– ফার্স্ট ইয়ার কলেজে আমার অনেক ভক্ত ছিল। তাদের মধ্যে অকৈতব মুখার্জি নামে তুমিও একজন।

ভোটের শাড়ি

শাওন পরিচয় / বৃষ্টিবেলা

সুবলা অন্তঃস্বত্বা। এখন তার আট মাস। বাজারের কিছু চিংড়িমাছ কিছু পাকা সব্জির উপর তেল মসলা ঢেলে কোন রকম একটা চচ্চড়ি করে বারান্দায় বসে জল ভাতের সাথে জিভে তুলেছিল। সকালের সুর্য তাদের বারান্দার ভুমিতলের সাথে ষাট ডিগ্রি কোন করে আকাশে খোলাখুলি কিরন দিচ্ছে। তার ফাঁকে সে স্বামিকে জিজ্ঞেস করল ‘ও বটুর বাপ এবার ভোটে কাপড় দেবে?’ অশিক্ষিতা সুবলা শাড়িকে সাধারন অর্থে কাপড় বলে। শ্রীমন্ত রান্না ঘরের কোনটাতে লেবু গাছটার তদারকি করছিল। এবার অনেক বেশি ফুল ধরেছে। সুবলার কথার কোন উত্তর না দিয়ে সে নিজের কাজে ব্যস্ত ছিল।

ঔরসতন্ত্র

শর্মিলা দত্ত/রুমিন রিদি

ভরা ঘাট, ভরা মাঠ।

ভরা মাস শরীর নিয়ে শ্রাবণীলতা হাঁটে।

ফুল্লবাণী বাধা দেয়নি। বরঞ্চ মনে মনে ভৈরবীর নামে মানত করেছে।

ফুল্লরাণীর হাড় জুড়িয়েছে।

শ্রাবণীলতা আনমনে হেঁটে চলে। জগদীশ খুড়া ক্যান ক্যানে মিঁয়ানো গলায় দু’তিনবার ব্যর্থ চেষ্টা করেছে।

দুপুরে তরুলতা

সুব্রত মন্ডল /রনি হায়দার

সন্ধ্যার বিষণ্ণতা আমায় কুরে কুরে খায়। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আর হাল্কা হিমেল হাওয়া যেন প্রলয়ের সংকেত বয়ে আনে। বাস ট্যাক্সি মিনি প্রতিটি যাত্রীযানই পরিপূর্ণ। নিত্য অফিস যাত্রীরা দিশাহারা। জীবনযুদ্ধের এ দৃশ্যপট আমার ক্লান্তি আরও গাঢ়তর করে। বাড়ি ফেরার কোন তাগিদ আমি অনুভব করি না। চঞ্চলা বালিকা, আধুনিকা যুবতী আর অতি আধুনিকা প্রৌঢ়ার দল নিজ নিজ দ্বীপের সীমানা মুছে আজ নতুন দ্বীপের সীমানা রচনায় ব্যাস্ত-আসন্ন বিপদের আশঙ্কায়। এক একটি যাত্রীবাহন আসে-থামে-যায়। বৃষ্টি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আবার দৃশ্যপট পাল্টে যায়। নতুন বৃত্ত রচনা হয়, নতুন দ্বীপ জেগে ওঠে।

শেষ থেকে শুরু

অমৃতা দে/রুমিন রিদি

জীবনের নিঃসঙ্গ ক্লান্ত বিকেলগুলো একে একে পার হয়ে যায়। শেষ বিকেলের রক্তিম আভায় আবার একটা ভাবি দিনের রেশ। চরম ব্যবস্ততাপূর্ন নতুন ভোরের সংজোযন পৃথিবীর ক্যালেন্ডারে। ঝটপট সারা চান খাওয়া। তাড়াতাড়ি নিজেকে গুছিয়ে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এক দৌড়ে বাস স্ট্যান্ড। ব্যস্ত জনতার গুঁতোগুঁতি খেয়ে বাসে ওঠা। গন্তব্য সেই এক ঘেয়ে কলেজ।

পোস্টটা বেশি বড় হয়ে গেল বলে দুঃখিত। তবে সংশ্লিষ্ট লেখকদের এবং শৈলীর দৃষ্টি আকর্ষন করছি যে পোস্টে সংযুক্ত লেখাগুলো  কলকাতা ভিত্তিক এই ওয়েব জিনে(http://sabjanta.info/index.php/Table/ছোট-গল্প-Bangla-Stories/) দেখতে পেলাম। আমি ব্যাপারটা বুঝতে পারছি না যে লেখাগুলো কারা চুরি করলো? নাকি একই লেখক ভিন্ন নামে লেখেন?

শৈলী.কম- মাতৃভাষা বাংলায় একটি উন্মুক্ত ও স্বাধীন মত প্রকাশের সুবিধা প্রদানকারী প্ল‍্যাটফর্ম এবং ম্যাগাজিন। এখানে ব্লগারদের প্রকাশিত লেখা, মন্তব‍্য, ছবি, অডিও, ভিডিও বা যাবতীয় কার্যকলাপের সম্পূর্ণ দায় শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট প্রকাশকারীর। ধন্যবাদ।


18 Responses to লেখকরাই চোর, নাকি লেখাগুলো চুরি হয়ে যাচ্ছে?

You must be logged in to post a comment Login