কোন পথে আমরা ? – অভিজিৎ রায় প্রসঙ্গ
হুমায়ুন আজাদ স্যারের একটি কবিতা আমার খুব ভালো লাগে , সেটি হলো “সবকিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে’’ ; আমার মনে হয় , বাংলাদেশের প্রায় সবকিছু নষ্টদের অধিকারে চলে গেছে । কিছু লোক নষ্ট করে ফেলেছে বিজ্ঞান , ইতিহাস-ঐতিহ্য , সাহিত্য-সংস্কৃতি ও মানুষকে । এই নষ্ট মানুষ , সমাজ ও সংস্কৃতি এখন জিজ্ঞাসাবিমুখ , সংশয়হীন ও প্রশ্নহীন […]
সারাক্ষণ বাংলাদেশ ……….
সালটা ১৯৬২। ঢাকা স্টেডিয়ামে প্রথম ডিভিশানের ফুটবল খেলা। খেলছে ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং আর নারায়নগঞ্জের ঢাকেশ্বরী কটন মিল দল। মোহামেডান দলের জয়টা দরকার। শুধু পয়েন্টের জন্যে না। এর সাথে সম্মানের প্রশ্ন জড়িত। ঢাকার বাইরের দল কটন মিল, প্রথম বছর তারা খেলেছে ঢাকায়। অখ্যাত নাম না জানা নতুন খেলোয়ারদের দিয়ে গড়া দলকে এখনো কেউ হারাতে পারে নি। […]
স্মৃতিকথা: বর্ষার রাতে
জাহের ওয়াসিম এর একটা স্মৃতিকথা খুব ভাল লাগল বলে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম: অদ্ভুত এক প্রেমে পড়ে যাই গত বর্ষায়, যা এলোমেলো করে দেয় আমার বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দেয়াল। অন্য রকম এক সত্যের মুখোমুখি হই আমি। জীবনের অন্যতম সেই সত্য ঘটনাটি আপনাদের শোনাব। এটাকে নিছক গল্প ভাববেন না। এই ঘটনা আমার জীবন ওলটপালট করে দিয়েছে। নানাবাড়িতে যাচ্ছিলাম […]
প্রেম সমাচার (না-বলা গোপন কথা)!
জুন-জুলাই মাস! বৃষ্টির মা বাপ নাই। এমন সময় যখন-তখন বৃষ্টি আসবে, ভিজাবে, আবার চলে যাবে, এমনই তো নিয়ম। কিন্তু তা হচ্ছে না! বর্ষাকালে মানেই একটু প্রেমপ্রেম ভাব থাকবে, মেঘবাদল আসলে সবাইকে একটুআধটু ভিজিয়ে যাবে, কাউয়াভেজা অবস্থায় প্রেমভাব জাগ্রত হবে! সেরকমও কোন লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। সেটা থেকে অনেকে বঞ্চিত। আমি বঞ্চিত নই। আমার প্রেম ভাব […]
হতাশ হাঙ্গর
(ছবি সুত্রঃ ইন্টারনেট। নিচের গল্পে কথিত হাঙ্গর নয় এগুলি স্কটল্যান্ডের উত্তরে নর্থ সীতে স্নো ঝরা শীত কালে ডলফিনের ঝাঁকের জলকেলী) আইরিশ সাগরে অক্টোবরের প্রথম থেকেই যেন শীত সাহেবের আক্রমন বেড়ে যায়। এপাড়ে ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড আর ওপাড়ে আয়ারল্যান্ড। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি আবার তার সাথে ঝড়ো বাতাস কিংবা ঘন কুয়াশা। প্রায় সারাক্ষণ একটা না একটা প্রাকৃতিক এলোমেলো […]
আমাদের কখনো জন্ম হয় না
আমার জন্মদিন কবে সত্যি আমার জানা নেই। আমার মায়েরও নেই। বাবারও ছিল না। ঠাকুরদার তো মনে থাকার কথাই নেই। এসব বালাই তাদের ছিল না। ভাগ্যিস আমারও নেই। আমার ভাইবোনদের কারোরই জন্মদিন বলে কোনো ব্যাপারে কখনো আগ্রহ দেখা যায়নি। সবার একটা জন্মদিন আছে বটে–সেটা বানানো। স্কুল থেকে দেওয়া। যেদিন ভর্তি হয়েছিলাম স্কুলে ক্লাশ টুতে– হুজুর স্যার […]
“রুপসী ললনা” আর “বিজ্ঞান”
১৮ই মে, ২০১০: আজ একটা ওয়ার্কশপ ছিল। বিষয়: ন্যানোট্যাকনলজী ও তার এপ্লিকেশন। আয়োজনে ছিল কানাডার ওন্টারিও ন্যানোট্যাকনলজী রিচার্স ফোরাম। সেখানে আমার দায়িত্ব ছিল একটা পোস্টার প্রদর্শন করা। যারা জানেন না তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, পোস্টার প্রেজেন্টশনের মধ্যে আহামরি কিচ্ছু নাই। পোস্টার প্রেজেন্টশন হল শুধু যার যার পোস্টারের সামনে “ভ্যাবলার” মত দাড়িয়ে থাকা। আর কেউ এসে “দুনিয়ার […]
রম্যস্মৃতি: কলেজ শেষের দিন
রচনাকাল: ২০০৭ গম্ভীর আর ভাববাদীরা এ পোস্ট মাড়াবেন না প্লিজ। কারন এখানে আজাইরা প্যাঁচাল ছাড়া কিছু হবে না। তখন ছিল কলেজ কাল। কলেজের নাম মুরারিচাদঁ কলেজ। কিভাবে কিভাবে জানি কেটে গেল কলেজের দুই দুইটা বছর। টেরই পাইনি। সত্যিই, মাঝি মাঝি ভাবি আর টাসকি খাই। আমার জীবনের সবচেয়ে মজাক সময় কেটেছে এই পাহাড় ঘেরা নয়নকাড়া কলেজটিতে। […]
একটি কাল রাতের কাহিনী
বাংলাদেশের একটি সমুদ্র বন্দরে চাকরি করছি তখন। স্ত্রি সন্তান নিয়ে ওখানেই কর্তৃপক্ষের বাসায় বসবাস করি। দিন গুলি বেশ কেটে যাচ্ছে। হঠাত্ অফিসের একটা জরুরী কাজে ৩/৪ দিনের জন্য ঢাকায় শিপিং অফিসে এসেছিলাম। ঢাকায় নিজেদের বাড়ি বলে সঙ্গত ভাবে এখানেই থেকে কাজ সেরে আবার চলে যাব। শেষ দিনে অর্থাৎ ১৯৮৫ সালের ২৫শে মে তারিখে সকালে বাড়ি […]
আমার দেখা একাত্তরের কয়েক দিন
১৯৭০ সালের কথা বলছি যখন আমরা করাচি শহরে থাকি তখনকার কথা। বাবা চাকরী উপলক্ষে ওখানে থাকতেন আর আমরা কয়েক ভাই বোন স্কুলে পড়তাম। চারিদিকে ইলেকশনের ফলাফল নিয়ে নানা ধরনের নানা কথা বার্তা। আমার স্পস্ট মনে আছে ইলেকশনের কিছু দিন আগে শেখ মুজিবুর রহমান করাচীতে গিয়েছিলেন। নির্বাচনি প্রচারনার উদ্দেশ্য নিয়েই। আমার খুব ইচ্ছে হয়েছিল তাকে দেখার। […]
এলোমেলো স্মৃতিকথা-১: রেলগাড়ী ঝমঝম
(আমার এই সিরিজের লেখাগুলো প্রচলিত অর্থে কোন আত্নজীবনী নয়। এর কোন ধারাবাহিকতাও নেই। জীবনের বিভিন্ন সময়ের কিছু কিছু ঘটনা যা আমাকে আজও কোনও না কোনও ভাবে নাড়া দেয় এসব তারই বর্ণনা মাত্র।) আর কদিন পরেই বাড়ী যাব। প্রত্যেক বছর ডিসেম্বর মাসের এই সময়টাতে আমাদের সব ভাইবোনের বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হয়। তারপর লম্বা ছুটি। তাই এটাই […]
যে স্মৃতি শিকড়ের, যে স্মৃতি আজন্ম লালিত…প্রিয় দাদাকে স্মরণে
দাদা আমাকে খুব স্নেহ করতেন। আমাকে হাতে ধরে, যেনো ধরে রাখছেন তাঁর উত্তরসুরি, এমন করে প্রতিটি মুহূর্তে আমাকে নাকি তার সঙ্গী চাই-ই চাই। দাদী নাকি আমাকে সতীন মনে করে হিংসা করতেন (দাদীর হয়তো তেমন ভালো লাগত না এতটা প্রশ্রয়, দাদীও আমাকে যথেষ্ট স্নেহ করতেন)। মসজিদে যাচ্ছেন সঙ্গে আমি, বাজারে যাচ্ছেন সঙ্গে আমি, এমনকি মাঠেও সঙ্গে […]