ছড়া

 চারুমান্নান

আবার ফিরে এলো, বর্ষা

আবার ফিরে এলো, বর্ষা আবার ফিরে এলো, বর্ষা ‍উড়ে আসে ঐ মেঘের, ঝাঁক ভিজে শালিক চালে ভিজে মাটি! ভিজে উঠান! ভিজে পুঁই মাচা ভিজে ঝুলে ঐ বাবুই’র, বাসা আবার ফিরে এলো, বর্ষা আষাঢ়ে নামবে ঢল থই থই জল! ১৪১৮@১ আষাঢ়,বর্ষাকাল

 নীল নক্ষত্র

মেঘের দেশে

মেঘের দেশে ঢলে ঘন দেয়া সাজে ঢল ঢল গগন তলে ঢাক গুর গুর বাজে।। মৌ বনের ফুলে উতল হাওয়ায় দোলে ময়ূর কেকা তুলে দল বেধে নাচে।। পায়ে নূপুর বেধে রুম ঝুম ঝুম তালে ঢোলক মাদল সাথে খুকু মনি নাচে।

 নীল নক্ষত্র

গায়ের ছবি

গায়ের বাঁকে ধানের ক্ষেতে বাতাস নাচে হেলে দুলে দেখরে তোরা খোকা খুকু দেখরে নয়ন ভরে। মাথাল মাথায় গামছা কাঁধে রাখাল চলে কাস্তে হাতে চোখ জুড়াল ধানের শীষে আকা বাঁকা পথের ধারে। দুষ্ট ছেলে মাতে খেলায় দীঘির জলে চড়ে ভেলায় মেঘের ফাঁকে রোদ যে হাসে ফড়িং নাচে গাঙ্গের চরে।

 নীল নক্ষত্র

চঞ্চল ঝর্ণা

ঝরে ওই চঞ্চল ঝর্ণা পাহাড়ি কন্যা যেন পাহাড়ি কন্যা ছুটে চলে সকাল দুপুর।। রংধনু শাড়ি পরে মাথায় মেঘের ঘোমটা কাল কোকিলের কণ্ঠে তুলেছে নৃত্যের সুর।। মহুয়ার আতর মেখে ফাগুনের আবিরে সেজে কঙ্কর নূপুর বেধে নাচে ঝুমুর ঝুমুর।। (আমার দস্যি ছোট মেয়েকে ঘুম পাড়ানোর জন্য তার মাকে লিখে দেয়া ঘুমের গান। ঘুম পাড়ানোর জন্য তাকে এক […]

 মুহাম্মদ সাঈদ আরমান

মিথ্যাবাদী কুটুম্বী

কুটুম্ব পাখি ডাকছে গাছে, মায়ে মরিচ-মশলা বাটে, বুবু আসবে নাইয়র খেতে, আমি যাবো নদীর ঘাটে। বুবু আসবে নৌকায় চড়ে, লাল শাড়ি আর গয়না পরে, বুবুর জামাই আসবে রাতে, আম-কাঁঠাল দেবো পাতে। কত মানুষ আসলো গেলো, বুবু-জামাই আসলো না, কুটুম্বী তুই মিথ্যাবাদী, তোকে আমি ছাড়বো না।।

 মুহাম্মদ সাঈদ আরমান

দুপুরের আয়োজন

লিচু গাছের ডালে বসে, ঘুঘু ডাকে ‘খুকুরে’ “খেলা-ধুলা ফেলে রেখে, ঘুমিও না দুপুরে’’। লাঙ্গল-জোয়াল নিয়ে এসো, খেলতে চাষের খেলা। ফসল বোনার সময় হলো, যাচ্ছে বয়ে বেলা। লুবা-জবা আসছে দেখো, পাতিল-পুতুল নিয়ে। পাখির দলে রব উঠেছে, হবে ‘পুতুল বিয়ে’। টিয়ে গাইবে রাঙ্গা ঠোঁটে নাচবে টুনি আজ, বউ সাজাবে শালিক-পায়রা দোয়েল হবে রাজ।। নাম করণঃ আফরোজা হক

 মুহাম্মদ সাঈদ আরমান

কবিকে আমন্ত্রণ

মোদের গাঁয়ে এসো কবি, খেতে দেবো দই, পিঠা-পুলি, মোয়া-মুড়ি, আরো দেবো খই । গাঁয়ের জন্য কাব্য লিখো, মায়ের জন্য গান, ক্ষেত-ফসলের পদ্য গড়লে, দেবো খেতে পান। খুকির জন্য ‘ঘুমপাড়ানি’ খোকার জন্য ছড়া, দাদুর জন্য মুর্শিদী গান, দেবো নারকেল বড়া। চাষীর জন্য পল্লিগীতি, মাঝির জন্য সারি, ফসল বুনার বচন লিখো, মুটের জন্য জারি। ফুল-পাখিদের কাব্য দিয়ে, […]

 অবিবেচক দেবনাথ

খুকির শান্তনা

খুকির শান্তনা

ছোট খুকিকে কোলে নিয়ে মা চুমু খায় গালে কাঁদেনা মা কতো ভালো হেঁটে-হেঁটে বলে ঐযে দেখ মা, কত্তো সুন্দর উঠেছে আকাশে চাঁদ জোনাকিপোকা মিটি-মিটি জ্বলে আকাশে তাঁরার বাঁধ হাসনা-হেনার মিষ্টি সুবাস ছড়ায়ে বাতাসে ঐযে শুনো হুতুমপেঁচা হু-হু করে হাসে অন্ধকারে আসছে দেখ ঐযে ভুত তেড়ে কাঁদেনা মা কান্না শুনলে আসবে তারা দেড়ে নানা বর্নিল হেতুমেখে যখন […]

 মুহাম্মদ সাঈদ আরমান

বুলবুলিকে দাদুর চিঠি

দাদীর গলার ‘গুলগুলি’রে! ও আমার ‘বুলবুলি’! ছন্দে গড়া চিঠি পড়ে মন কাঁদে ঝড় তুলি। মিঞা বাড়ির ময়না-জবার শেষ হয়েছে আড়ি, তুমি আসার খবর শুনে সাজছে সারা বাড়ি। ভোর সকালে নামাজ শেষে শিউলী কুড়াই আমি, রাঙ্গা সুতায় মালা গাঁথি, গলায় দিও তুমি। পুতুল গুলো আছে ভালো, গোসল দিলাম আজি। ডুবলো যেটা পুকুর জলে, সেটা ভীষণ পাজি! […]

 মুহাম্মদ সাঈদ আরমান

বুলবুলির চিঠি

দাদু আমার সালাম নিও। কেমন আছো তুমি? ইট-পাথরের বন্দীঘরে , আমি এবং ‘টুমি’। সকাল-দুপুর পাঠশালাতে, ঘুমে বিকেল কাটে। মশার সাথে যুদ্ধ করে, মন বসে না পাঠে । তোমার ভাষায় কইলে কথা, বন্ধুরা সব হাসে! তখন আমার দুচোখ কেবল, অশ্রু জলে ভাসে। মসজিদের ঐ নীল পুকুরে, শাপলা কি আর ফোটে? মিঞা বাড়ির ময়না-জবা, তেমনি এসে জোটে? […]

 মুহাম্মদ সাঈদ আরমান

ঘুমপাড়ানি ছড়া

খোকন শুইয়ে সোনার খাটে বাজাও ঘুমের বাজনা। পাখ-পাখালি কোথায় গেলি! দাও ঘুমের খাজনা । পায়রা এসে নাচন ধরে, গাইছে বাকবাকুম… ঘুমপরীরা ছুটে এসো, নিয়ে রাজার ঘুম । দোয়েল নাচে লেজ উঁচিয়ে ঠোঁটে বাজায় বাঁশী। টুন্ টুন্ করে টুনটুনি গায়, ‘আয়রে ঘুমের মাসি’। পেয়ারা গাছে ঘুঘু বসে, ঘুঘু.. ঘু সুরে গায়, পরী আনে ঘুমের ঘোড়া, ঐ […]

 মুহাম্মদ সাঈদ আরমান

খুকি ও চড়ুই

ওরে চড়ুই, এই চেয়ে দেখ! বাবু কেমনে দোলে! বাবু যাবে পরীর দেশে, চড়বে পরীর কোলে। করিস না আর চেঁচামেচি চুপটি করে শুন, ফুলপরীরা গাইছে গান, গুনগুনা গুন গুন । ঘুম ভাঙ্গালে কাঁদবে বাবু , মা দেবেন বকা, সুড়ুৎ-ফুড়ুৎ বন্ধ কর, চড়ুই সখি-সখা। ঝড়-বৃষ্টির মন্দ দিনে মনটা ভীষণ ভারী, ঝগড়া-ঝাঁটি করিস যদি, তোদের সাথে আড়ি। ০৫/০৪/২০১১