নক্ষত্রের গোধূলি-২১
সত্যিই আপা আপনি অসাধারন। না ভাই এভাবে বলবেন না। কেন বলবো না, আপনি তো সাধারণের চেয়ে সম্পূর্ন ভিন্ন প্রকৃতির। এমন আমি খুব কমই শুনেছি। আসলে কি ভাই আপনার দুলাভাই এমন একজন মানুষ যাকে ছাড়া আমি কিছু ভাবতে পারি না, সামান্য একটা কাজও যদি ওকে জিজ্ঞেস করে না করি তবুও মনে একটা খুত খুতানি থেকেই যায়। […]
দগ্ধ অনুভূতি
জানালার গরাদ গলে লোনা-শেওলা ধরা দেয়ালটিকে দেখে যাই প্রতি রাতে । এঁদো গলি বেয়ে রহস্যময় দৃষ্টি নিয়ে ধোঁয়ার বেশে কুয়াশা বয়ে যায় – গরাদ গলে সে ধোঁয়ার ছন্দ কাটে নিকোটিনময় ধোঁয়া ; অপলক চেয়ে দেখি ধোঁয়াদ্বয়ের ছন্দহীন লুটোপুটি ! নিকোটিনের গাদ পড়া এ ফুসফুসে জ্বালা ধরায় নগ্ন আঙুলের ফাঁক গলে আসা নিকোটিন ; ঠোঁটের কোনে […]
শিকড় ছিড়ে যাবার পুর্বকাল
শৈশবের দিনগুলো বড় অদ্ভুত ছিল ভাঙাচোরা নড়বড়ে ঘরটিতে বেশ শক্ত খুঁটির ওপর দাঁড়িয়ে ছিল ভালোবাসা সম্পর্কের বন্ধনে । ভালোবাসা ছিল দাদীমা’র হাতে কাঁঠাল পাতা দিয়ে আঁকা পানের খিলির প্রতিবিম্বে কিংবা তোষকের নিচে লুকোনো গলিতপ্রায় ফানটা লজেন্সের মোড়কে । ভালোবাসা ছিল রোজ সকালে পুকুরপারে দাদীমা’র দুধ-শাদা চুলে সোনালী রোদের ঝিকিমিকি খেলায় ! শৈশবে ভালোবাসারা ঘুরে বেরাত […]
ধারাবাহিকঃ নিশিযাত্রা (পর্ব ১০)
দশ ঘুম ভাঙ্গার পর থেকেই বাসি রজনীগন্ধাগুলোর দিকে তাকিয়ে রয়েছে বৈশাখী। বিবর্ণ রঙ ধারন করে শুকিয়ে নুয়ে পড়েছে সেগুলো যেন আগের দিনের কোন রাজা-বাদশাকে কুর্ণিশ করছে জড়সড় হয়ে। জানালা দিয়ে অল্প অল্প আলো এসে ঢুকেছে ঘরে, সেটা দিয়েই ঘরের ভিতর চারদিকে আবছা আবছা দেখা যায়। আসবাবপত্র তেমন নেই কিন্তু যা আছে খুব সুন্দর পরিপাটি করে […]
সে তো ভাসে স্বপ্নে টইটুম্বর
সে তো ভাসে স্বপ্নে টইটুম্বর কি করে পারলে বযে বুকে, সাগরের ঢেউ এর মত আছরে পরা তোমার দীর্ঘশ্বাস; সে তো ভাসে স্বপ্নে টইটুম্বর অথচ তুমি একই পথে বার বার হাটলে অচিন পথিকের মত অচেনা পথ বলে । মনের ডাঙ্গায় তোমার বাসা না,তোমার ডাঙ্গায় মনের বাসা, বুঝতে গড়িয়ে গেল সময়; পথের আইলে গজিয়েছে বন চিরহরিত মহুযার […]
নক্ষত্রের গোধূলি-২০
মনিরা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো তুমি চিনলে কি ভাবে? তুমি তো হারিয়ে যাবার ভয়ে আমার সাথে আসতেই চাইছিলে না। এখন বল তোমাকে অযথা হাটিয়েছি? না। তাহলে আসতে চাওনি কেন?মনে নেই সেবার কলকাতায় কি করেছিলে?কি ওই দোকান থেকে ভিড়ের জন্য বাইরে এসে দাঁড়িয়ে ছিলাম আর তুমি আমাকে দোকানের ভিতর না দেখে কাঁদতে কাঁদতে বাইরে চলে এসেছিলে। […]
নিশিকন্যা
কদিন ধরে কাজে যেতে পারছে না সুমি । এমন শীত। উফ ! বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা যায় না সন্ধ্যার পর। কদিন এমন শীত থাক কে জানে। তার উপর শরীর খারাপ করেছে। মাসের এ কয়েকটা দিন খুব খারাপ কাটে সুমি’র। একটা অসস্তি ঘিরে রাখে। শীত আর শরীর খারাপ কোনোটার উপর তার নিজের কোন হাত না থাকলেও এখন […]
শীতের রাত,
শীতের রাত, দিন শেষে কুয়াশার সাঁঝ, একটু ঝেঁকে বসে। শিশির ভেজা কষ্ট আঁধার, রাতের আঁচল টানে। কষ্ট বুঝে কনকনে হাওয়া, জোনাক ভিজে ঘাসে। কষ্ট করে পথিক সুজন, পথে বাঁধা ঘরে। ——-__—- ১৪১৭@৭ পৌষ,শীতকাল